‘তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বাড়লে খরা দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে’
৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৫
ঢাকা: দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে যে খরা হচ্ছে, তাপমাত্রা আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে তা ক্রমান্বয়ে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়বে বলে বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। আর তেমনটি ঘটলে সার্বিকভাবে দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিআইবি মিলনায়তনে ‘জার্নালিজম ইন দ্য এজ অব ক্লাইমেট অ্যাকশন: কপ২৮ কাভারেজ স্ট্র্যাটিজিকস অ্যান্ড মেনটরিং’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৮) সংবাদ সংগ্রহের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এই কর্মশালার আয়োজন করেছে। আয়োজনে সহযোগী হিসেবে রয়েছে পরিবেশবাদী আরও ১০টি সংগঠন।
কর্মশালায় অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এর আগের জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে (কপ) আলোচনা হলেও তহবিল নিয়ে তেমন কোনো কথা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাপমাত্রা বাড়ছে, কোথাও কমছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।
ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, বর্তমানে গ্রিন ইন্ডাস্ট্রি তথা পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য যে অর্থায়ন প্রয়োজন, তা কে দেবে? বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের সপ্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে পারলে দুর্যোগে ক্ষতি কম হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে এখন ছয় ঋতু খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা এখন বছরের ৯ মাস উত্তাপের মধ্যে কাটাই। শীতের প্রকোপও অনেক বেড়েছে। জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে অনেক কথা বলা হলেও ফলাফল শূন্য। আসন্ন দুবাই সম্মেলনও যেন এই অবস্থায় না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্মশালার প্রধান সমন্বয়কারী এবং ক্যাপস ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। প্রশিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সিপিআরডির মো. শামসুজ্জোহা প্রমুখ। আগামীকা শনিবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুয় এবং ঢাকায় সুইডেনের দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন সেকশনের ডেপুটি হেড নাইওকা মার্টিনেজ ব্যাকস্ট্রোম।
সারাবাংলা/আরএফ/টিআর
অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল কপ২৮ জলবায়ু পরিবর্তন জলবায়ু সাংবাদিকতা ঢাবি উপাচার্য পরিবেশ ও জলবায়ু