যাত্রাবাড়ীতে হাজার মণ আম ধ্বংস করল র্যাব
১৭ মে ২০১৮ ১৮:১২ | আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ১৮:২১
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ফল আড়তে অভিযান চালিয়ে কেমিকেল দিয়ে পাকানো প্রায় এক হাজার মণ আম ধ্বংস করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪০ মণ খেজুরও জব্দ করা হয়। অভিযানে ৯ ফল ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার (১৭ মে) সকাল ৭টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ীর ফল আড়তে চলে এ অভিযান।
ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আড়তে যত আম ছিল তার সবগুলোই অপরিপক্ক। আমগুলো পাকানো হয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও ইথানল দিয়ে। ফলে আম ওপরে পাকা দেখা গেলেও ভেতরে কাঁচা রয়েছে। তাছাড়া আমের আঁটিও শক্ত হয়নি এখনো।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরিপক্ক প্রায় হাজার মণ আম সড়কে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই ওই এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এসব আম মানুষ খেলে সহজেই ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া কিডনিসহ শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।’
অভিযানে আশা বাণিজ্যালয়ের লুৎফর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর, মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের শেখ মোস্তফাকে ছয় মাস, সাতক্ষীরা বাণিজ্যালয়ের ইয়াসিনকে ছয় মাস, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহাকে দুই মাস, আতিউর ট্রেডার্সের রঞ্জিত রাজবংশীকে তিন মাস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মো. শহিদুল এবং নামহীন দু’টি প্রতিষ্ঠানের মেহেদী হাসান ও রেজাউল নামে দুই জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
অভিযানে অংশ নেন র্যাব ১০ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার ইঞ্জিনিয়ার মো. শহীদুল ইসলাম ও মো. খাইরুল ইসলাম।
এর আগে, গত ১৫ মে কারওয়ানবাজার ফল আড়তে অভিযান চালিয়ে ৪০০ মণ আম ধ্বংস করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিন ৭ জনকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। ১১ মে রাজধানীর বাদামতলী ফল আড়তেও অভিযান চালিয়ে ৬০ মণ পচা খেজুরসহ ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম ধ্বংস করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও