বাংলাদেশ পথ হারায়নি, মেট্রোরেলে স্বপ্নযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী
৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩১
ঢাকা: রাজধানাবাসীর জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের স্বস্তি যাত্রার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। যেটি আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, আমাদের সাধারণ মানুষ যেন সবাই যাতায়াত করতে পারে। ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পায়। কর্মঘণ্টা বাঁচে। আর্থিকভাবে মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় বরং লাভবান হয় এবং সময়ের সঙ্গে যেন চলতে পারে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই যোগাযোগ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম।
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করে এ সব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকাবাসীর জন্য স্বস্তির স্মার্ট স্বপ্নযাত্রা উপহার দিলো ক্ষমতাসীন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ নভেম্বর দুপুরে এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল)-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীবাসীর চলাচল সুবিধায় নবদিগন্তের দুয়ার উপহার দিলেন।
আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে তিন স্টেশন দিয়ে শুরু হবে মতিঝিল অবধি স্বস্তির মেট্রোযাত্রা। প্রাথমিকভাবে উত্তরা পর্যন্ত চলবে চার ঘণ্টা। দশ মিনিট পরপর আসবে ট্রেন।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটের মহানগরীতে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে পৌছালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী কার্ড পাঞ্চ করে টিকিট কেটে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করেন। আগারগাঁও মতিঝিল অবধি পতাকা নাড়িয়ে মেটোরেলের যাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন।এরপর তিনি শুভেচ্ছা বার্তায় স্বাক্ষর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আরেকটি মেট্রোরেলে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোযাত্রায় অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে রওনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে যাত্রাকালে অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আজকে আমি খুবই আনন্দিত। আজকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চালু করেছি। এটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত আমরা এক্সটেনশন করব।’
জাপান সরকার, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীসহ নির্মাণ কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কোভিডকালেও দ্রুত কাজটা সম্পন্ন করে দিয়েছে। এটাতে আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ লাভবান হবে।’
সারাবাংলা/এনআর/একে