কুবি করেসপন্ডেন্ট: বিএনপির ডাকা দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রধান ফটকে চারটি তালা দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তবে কিছুক্ষণ পরই তালাগুলো ভেঙে ফেলা হয়। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেয় দলটি।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টায় দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা কুবির মূল ফটকের ৪টি প্রবেশ পথে তালা ঝুলিয়ে দেন। ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান শুভর নেতৃত্বের এসময় কুবি শাখা ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কুবি’র প্রধান ফটকে কর্তব্যরত আনসার সদস্য বাদল বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মোটরসাইকেলে বেশ কয়েকজন লোক এসে মেইন গেইটের চারটি প্রবেশ মুখে চারটি তালা ঝুলিয়ে চলে যায়। আপনারা কারা? এটি জিজ্ঞেস করা হলে তাদের একজন ছাত্রদলের সভাপতি বলে পরিচয় দেন। তবে তালা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুই শিক্ষকের নির্দেশে আমরা তালাগুলো ভেঙে ফেলি।’
ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান শুভ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে অতিদ্রুত একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে। অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা প্রতিটি ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এরই অংশ হিসেবে আজ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে চারটি তালা ঝুলানো হয়েছে।
এ সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অরাজকতারও সমালোচনা করেন এবং ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘সকালে খবর পাই কিছু ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ৪টি তালা ঝুলিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যাই। তবে তারা ছাত্রদলের কিনা এ বিষয়টি নিশ্চিত নই। আমরা এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
প্রসঙ্গত, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশে আজ ও আগামীকাল (৫ ও ৬ নভেম্বর) ২ দিনের অবরোধ পালন করছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।
২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও প্রথম দফা অবরোধের পর দ্বিতীয় দফায় ডাকা অবরোধ শুরু হয়েছে আজ। রোববার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে দুই দিনের এই অবরোধ শুরু হয়। বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন, এবারের অবরোধ হবে আরও বেশি কঠোর। সড়ক, রেল ও নৌ পথে এবার নেতা-কর্মীরা আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হবে এবং অবরোধ সফল হবে।