Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাশকতার আশঙ্কায় ভিড় কম রাস্তায়

রাজনীন ফারজানা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৬

ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফার অবরোধের প্রথমদিন সকাল থেকেই রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটিই দেখা গেছে। নাশকতার আশঙ্কায় রাস্তায় গণপরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ির চলাচল অনেকটিই কম দেখা গেছে। তবে রাজধানীজুড়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও পাহারা বেড়েছে।

সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টা দেশব্যাপী সড়ক-রেল-নৌপথ, রাজপথসহ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট।

অবরোধের প্রথম দিন সড়কে যান চলাচল সচল রয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সড়কে দেখা গেছে বাস সংকট। এতে বিপদে পড়েছেন চাকরি, ব্যবসা বা অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ। গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া দাবি করছে সিএনজি, রিকশা চালকরা। আর, একটি বাস আসা মাত্রই সবাই গাদাগাদি করে সেটিতে উঠছেন।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও, রামপুরা, মগবাজার, তেজগাঁও ইত্যাদি এলাকায় তুলনামূলক ভিড় অনেক কম দেখা যায়। রাস্তায় হাতে গোনা দুয়েকটা বাস। অনেক বাস স্টপেজেই যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বাস না পেয়ে কেউ কেউ অ্যাপসে চালিত মোটরবাইক বা প্রাইভেট কার ছাড়াও সিএনজি ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে ওঠেন। এতে খরচ বেশি পড়লেও উপায় নাই বলে বাধ্য হয়ে উঠছেন বলে জানালেন কয়েকজন যাত্রী।

বাসাবো বাসস্টপেজে অপেক্ষারত সুজন হালদার বলে একজন যাত্রী বলেন, ‘হরতাল হোক আর অবরোধ আমাদের তো অফিসে যেতেই হবে। প্রতিদিন বাসে আগুন দিচ্ছে খবরে দেখছি। তারপরও ভয়ে ভয়ে বাসে উঠি খরচ কম বলে। কিন্তু এখন তো বাসই কম। অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছি না। কোনদিন শেয়ারে সিএনজি বা ভাড়ার মোটরসাইকেলে যাওয়া-আসা করতে করতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে।’

রায়েরবাগ থেকে কাকরাইল কাজে আসেন স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী আমেনা। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাস ছাড়া চলাচলের উপায় নেই। কয়েক দফা ভেঙে ভেঙে অফিসে আসি। ভয় লাগলেও কিছু করার নেই।’

এদিকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধে নগরীর ভেতরে গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকলেও দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি বললেই চলে। সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকায় দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার খোলা থাকলেও যাত্রী অনেক কম। কাউন্টারের ব্যক্তিরা বলেনন, ‘কাউন্টার খোলা রেখে বসে আছি কিন্তু যাত্রী না পেলে ছাড়বো কীভাবে।’

দূর পাল্লার বাস সংকটে বিপদে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সুমন। তিনি বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাব। কিন্তু কাউন্টার থেকে জানালো রাতে বাস ছাড়লেও দিনে বাস ছাড়ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ট্রেনে টিকেট নিলাম।’

এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে পরিবহন চলাচলে কোনো সংকট নাই বলে দাবি করেন বাস মালিক সমিতির সহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। রাস্তায় গণপরিবহন কম কেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘বাস কম না। সমানে চলতেছে। কিন্তু কোথাও কোথাও যাত্রী কম থাকতে পারে তাই হয়ত বাস কম। আমার জানা মতে সব বাস রাস্তায়। আগুন দেওয়ার কারণে কিছুটা ভয়ভীতি কাজ করেতেছে। সরকার এগুলোর ক্ষতিপূরণ দেবে। পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে।’

দূরপাল্লার বাসও ঠিকমত ছাড়া হচ্ছে বলে জানালেন এই পরিবহন নেতা।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

অবরোধ গণপরিবহন টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর