Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫ ট্রেডে যুব প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে ৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৩

যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে বেসিক কম্পিউটার ট্রেডেও প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়বে। প্রতীকী ছবি

ঢাকা: যুব উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলায় অবস্থিত ৭৯টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে তরুণদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানো হচ্ছে, সহায়তা করা হচ্ছে আত্মকর্মসংস্থানের উপযোগী তরুণ জনগোষ্ঠী তৈরিতেও। বর্তমান সময়ের চাহিদা বিবেচনায় কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন ট্রেডেও দেওয়া হয়ে থাকে এই প্রশিক্ষণ। এর মধ্যেই পাঁচটি ট্রেডে প্রশিক্ষণের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ৬৪টি জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।

এই প্রকল্পের আওতায় যে পাঁচটি ট্রেডের প্রশিক্ষণে সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হলো— কম্পিউটার বেসিক অ্যান্ড আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন কোর্স, প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স, ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউজওয়্যারিং, ইলেকট্রনিক্স এবং রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে এই কোর্সগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মতামত সংশ্লিষ্টদের।

প্রকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা) বলেন, বর্তমান বিশ্বে কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন কাজে দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই ৭৯টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই পাঁচটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কোর্সগুলো যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অধিদফতরের পরিচালক জানান, ৬০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে প্রথম পর্যায়ের একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মাধ্যমে এই ট্রেডগুলোতে প্রশিক্ষণ দিতে সেন্টারগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো যায়। এর মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতির আপগ্রেডেশন হয়েছে। এ কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রয়োজন।

প্রস্তাবটি নিয়ে গত ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত পিইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের (সদস্য) সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম।

সভায় কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের স্কাইসোয়াম অনুবিভাগের যুগ্মপ্রধান মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে ৭৯টি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত পাঁটি প্রশিক্ষণ কোর্সের সক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুনে এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। ৫০ কোটি টাকার নিচের প্রকল্পের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডি বাধ্যতামূলক না থাকায় ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়নি।

সভায় অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত কার্যক্রমগুলো পরিচালন বাজেটের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। তাই দ্বৈততা থাকায় প্রকল্পটির বাস্তবায়নে জনবলের প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পের জনবল কমিটি অপারগতা প্রকাশ করে।

যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম খান সভায় বলেন, পরিচালন বাজেটের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তাই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

পিইসি সভা সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের অঙ্গভিত্তিক ব্যয় পর্যালোচনা করে ভাড়ায় একটি মাইক্রোবাস কেনা, মুদ্রণ ও বাঁধাই এবং যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ব্যয় প্রাক্কলন নিয়ে সভায় একমত পোষণ করা হয়। তবে প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না থাকায় কোর্স পরিচালনা ও কোর্স কো-অর্ডিনেটরের সম্মানি বাবদ প্রস্তাবিত খাতের বরাদ্দ বাদ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া কম্পিউটার, যন্ত্রপাতি, এসি ও অফিস সরঞ্জামের সংখ্যা, একক ব্যয়সহ মোট ব্যয় প্রাক্কলন আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী বাজারদরের ভিত্তিতে ব্যয় প্রাক্কলন করার পরামর্শ দেওয়া হয় সভায়।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

আইসিটি অ্যাপ্লিকেশন কোর্স ইলেকট্রনিক্স ইলেট্রিক্যাল অ্যান্ড হাউজওয়্যারিং এয়ারকন্ডিশনিং গ্রাফিক্স ডিজাইন বেসিক কম্পিউটার ট্রেড যুব প্রশিক্ষণ যুুব উন্নয়ন অধিদফতর রেফ্রিজারেশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর