Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোরআন অবমাননা মামলায় খালাস পেলেন সেফুদা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:০০

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার মামলা থেকে সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদাকে খালাসের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তাকে খালাসের রায় দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম জানান, আজ তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে আসেননি। সাক্ষী না আসার কারণে আদালত আসামিকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।

এদিকে সেফুদাকে মামলা থেকে খালাস দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মো. আলীম আল রাজী (জীবন)।

তিনি বলেন, ‘আমি এ মামলায় আগেই সাক্ষ্য দিয়েছি। এরপর একটি তারিখ গেছে। আদালতে আজ সাক্ষী আসেননি। আজ আমি অসুস্থ থাকায় টাইম পিটিশন দেওয়া হয়। আদালত থেকে সাক্ষীদের সমন পাঠানো হয়েছে। সমন ফেরতও আসেনি। আর মামলাটা কোরআন শরীফ অবমাননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির। কীভাবে তিনি (বিচারক) পলাতক একজন আসামিকে খালাস দিলেন?’

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান মামলার বাদী।

২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল ঢাকা বারের আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র আল কোরআন সম্বন্ধে বিভিন্ন আজেবাজে কথা বলছেন। সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদা আল কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামী বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ আসামি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে করুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।

২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফুদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত সেই প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি আদালত সেফুদার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। এরপর আলীম আল রাজী (জীবন) সাক্ষ্য দেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

কটূক্তির মামলা কোরআন অবমাননা সেফুদা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর