৭ নভেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি
৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৭ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতারা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর দোস্তবিল্ডিং চত্বরে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কথিত সিপাহী বিদ্রোহে অংশ নেওয়া অধিকাংশ সৈনিকরা ছিল পাকিস্তান প্রত্যাগত এবং তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কোনো ব্যাটালিয়নের ছিল না। সুতরাং এটি পরিষ্কার যে, ষড়যন্ত্র এবং জঘন্য হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্যই বিশেষ মহল ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। আর বিশেষ মহলের নেপথ্যে কারা ছিল তা জাতির কাছে স্পষ্ট।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘৭ নভেম্বর প্রথম প্রকাশ্যে হত্যার শিকার হন মুক্তিযুদ্ধের দুজন সেক্টর কমান্ডার ও একজন সাব-সেক্টর কমান্ডার। আর এই ৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ফাঁসি দেওয়া হয় আরেকজন সেক্টর কমান্ডারকে। এছাড়া সেনাবাহিনীর ভেতরে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা অফিসার হত্যার শিকার হন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও কোনো সেক্টর কমান্ডারকে প্রাণ হারাতে হয়নি। অথচ তথাকথিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মিথ্যা ইতিহাস শুনিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা।’
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সরফরাজ খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, বাদশা মিয়া, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, এইচ কে নাথ, আবদুল মালেক খান, সাইফুন নাহার খুশী, মোহাম্মদ জসীম, নাজিম উদ্দিন, সেলিম রহমান, পলাশ বড়ুয়া, পংকজ রায়, কামাল উদ্দিন, কোহিনুর আকতার, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, নুরুল হুদা, ফজলুল হক সিদ্দিকী, নয়ন মজুমদার, রাজীব চন্দ, দীপন দাশ, শীলা চৌধুরী, আশরাফ রহমান, খোরশেদ আলম, এস এম মাহি।
সারাবাংলা/ওইউ/পিটিএম