Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিজ খরচে গাড়িতে আদালতে আসা-যাওয়া করবেন মির্জা আব্বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:১৯

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নিজ খরচে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স অথবা মাইক্রোবাসে কারাগার থেকে আনা-নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতে উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো. জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

এদিন আদালতে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তার পক্ষে একজন আইনজীবী ও ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা হলেন- তাদের পারিবারিক আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট নুরুল হোসেন খান।

জবানবন্দি শেষে দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের জেরা করেন। এরপর আদালত আগামী ১২ নভেম্বর সাফাই সাক্ষ্যের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

আসামি পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম ও শাহিনুর ইসলাম সাক্ষ্য গ্রহণ ও আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আবেদনে বলা হয়, মির্জা আব্বাসের বয়স ৭৮ বছর। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। তিনি আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২৬ আগস্ট সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে আসেন এবং এখনও চিকিৎসকের পরামর্শে আছেন। এই আসামিকে কাভারভ্যানে কারাগারে আনা-নেওয়া করা হয়। কাভার ভ্যান/পুলিশের ভ্যান অত্যন্ত কষ্টদায়ক। কারাগার থেকে আসা-যাওয়ার পথে এই দীর্ঘ সময় অসুস্থ দরখাস্তকারীকে প্রিজন ভ্যানে আনা-নেওয়া কালে জীবনের চরম ঝুঁকি থেকে যায়।

বাংলাদেশ পুলিশ প্রবিধান ৪৮০(ক) বিধির ২ নম্বর প্যারায় বলা হয়েছে, সম্ভব হলে আসামিকে বিশেষ গাড়িতে করে আনা-নেওয়া করা হবে। প্রথম শ্রেণির বন্দিকে প্রিজন ভ্যান বা ভাড়া করা গাড়িতে আনা নেওয়া করতে হবে এবং তাদের যাতায়াত যেন যুক্তিগ্রাহ্যভাবে আরাম ও গোপনীয়তা নিশ্চিত হয় তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তাই মির্জা আব্বাসের পরিবার তার জীবন বাঁচানোর জন্য গাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। এমনকি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রয়োজনে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবেন।

জানা যায়, আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২৪ মে মামলাটি তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

আদালত আসা যাওয়া টপ নিউজ মির্জা আব্বাস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর