বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু কারাগারে
৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৪২
ঢাকা: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশ সদস্য হত্যার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এই আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির এ তথ্য জানান।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম আসামির তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ৬ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দুদুকে তিনদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় পলাতক অপর আসামিদের যোগসাজসে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে যোগদান করেন। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রোণোদিতভাবে পল্টন থানাধীন বিএনপি অফিসের সামনের সমাবেশের স্টেজে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। ওই উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিরা মূল সমাবেশ স্থল ছেড়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিলসহ গণপরিবহনের একাধিক বাস, পাবলিক পিকআপ গাড়ি এবং পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিবহন এলাপাতাড়ি ভাংচুর করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে অসংখ্য পুলিশকে আহত করে।
আরও বলা হয়, আসামিরা রাস্তার ফুটপাতে থাকা দোকান পাটে আগুন লাগিয়ে দিয়ে জনমনে এক ভূতীকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। আসামি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাকে হিংত্মাতক এবং উস্কানিমূলক মারমুখী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষ মদদে অপরাপর আসামিরা প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের পূর্ব পার্শ্বের গেট ভেঙ্গে বাস ভবনে অনধিকার প্রবেশ করে। এলোপাথাড়ি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাস ভবনের নাম ফলকসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করেন।
গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার পরপর গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামানের বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
সারাবাংলা/এআই/ইআ