‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পতেঙ্গায়
৯ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত উড়াল সড়ক বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে পতেঙ্গায় সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ১৪ নভেম্বর সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ উড়াল সড়ক উদ্বোধন করবেন।
সিডিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্বোধনী আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবীসহ এক হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করা হবে। গণভবন থেকে যুক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য একাধিক মাল্টিমিডিয়া স্ক্রিন স্থাপন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণ প্রান্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ভেন্যুতে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সিডিএ’র বাস্তবায়ন করা প্রকল্পগুলো হচ্ছে- নগরীর চন্দনপুরা থেকে কালামিয়া বাজার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বাকলিয়া এক্সেস রোড এবং ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক।
এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পতেঙ্গায় গিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। সুধী সমাবেশের মতো হবে, কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজনের পরিকল্পনা নেই। এক হাজার অতিথির তালিকা আমরা করেছি। তাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় ভেন্যুর আশপাশের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানবাহন চলাচল সীমিত রাখতে পুলিশ ও র্যাবের দফতরে আলাদা চিঠি দিয়েছে সিডিএ।
তবে উদ্বোধন হলেও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি খুলছে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল অবকাঠামোর কাজ ৮৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ সামনের বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এর মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব। এরপরই পুরোপুরি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে মূল অবকাঠামো দিয়ে আপাতত সীমিত আকারে যানবাহন চলবে।’
যানজট নিরসন করে নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ‘চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি’ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রথমে তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ হয়েছিল। পরে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। এ ছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট প্রশস্ত চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আছে ২৪টি লুপ ও র্যাম্প এবং ৩৯০টি পিলার। নগরীর যানজট নিরসন ও বিমানবন্দর থেকে মূল শহরের যোগাযোগ সহজ করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে বলে দাবি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম