নেতা-কর্মীদের আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ আ.লীগের
১০ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১১
ঢাকা: নেতা-কর্মীদের এখন আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যেসব জায়গাগুলো তারা আক্রমণ করার সুযোগ পায়, সেসব জায়গায় আপনাদের উপস্থিতি জোরদার করতে হবে। সেখানে যে ধরনের হামলা হতে পারে, ঠিক সেভাবে প্রস্তুত হয়ে থাকতে হবে।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে ভিন্নমতের প্রতিকূল স্রোতের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছি। আজকে দেশে বিভিন্নভাবে সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। দেশে-বিদেশে বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী তৎপরতা চলছে। এটা আমরা লক্ষ্য করছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর তাদের আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত, এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। স্বাভাবিক আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর এখন তারা অস্বাভাবিক পথে চলতে শুরু করেছে। তাদের সেই পুরনো অভ্যাস, পুরনো স্বভাব সন্ত্রাসের রাজনীতি ও অগ্নিসন্ত্রাসের উপাদান আবার যুক্ত করেছেন। মানুষ পোড়ানো, বাস পুড়িয়ে তারা সরকার তথা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হটানোর সবশেষ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা প্রকাশ্যে তারা পারছে না, চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এসব হামলা দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধও করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আপনাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। যেসব জায়গাগুলোয় তারা আক্রমণ করার সুযোগ পায়, সেসব জায়গায় আপনাদের উপস্থিতি জোরদার করতে হবে। সেখানে যে ধরনের হামলা হতে পারে, সেটা আশঙ্কা করে ঠিক সেভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে আপনাদের।’
পোশাক কারখানায় শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপি ও তার দোসরদের ইন্ধন আছে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইন্ধন তো আছেই। এখানে পরিষ্কারভাবে বিএনপি এবং তাদের দোসরদের কালো হাত এখানে বিস্তার হয়ে আছে। তারাই উসকানি দিচ্ছে। তারাই গুজব সৃষ্টি করছে। উসকানি আর গুজব সৃষ্টি করে তারা নিরীহ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করছে।’
শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখন দেশের অবস্থাও বুঝতে হবে। নেত্রী গতকাল পরিষ্কার করে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কিছু কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে, বেশিরভাগের সমাধান হয়ে গেছে।’
‘তবে কোনাবাড়ি-আশুলিয়া, এই দুইটা জায়গায় কিছু সমস্যা আছে। আমরা আশা করি, আমাদের শ্রমিকরা বর্তমান বাস্তবতায় তারা বিষয়টির সমাধানে এগিয়ে আসবেন। প্রধামন্ত্রী সবসময় মনিটর করছেন। এটা নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র করে ওই ২৮ তারিখের মতো কিছু করবে, তবে সেই আশায় গুড়েবালি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি শ্রমিকরা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করবে না। তাদের নিজেদের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের সংস্থান করে যে চাকরি, সেই চাকরি নিয়ে তারা যদি গুজবে বিভ্রান্ত হয় তাহলে ক্ষতিটা বাংলাদেশেরও হবে, এবং শ্রমিকরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। গুজব রটনাকারীদের কিছু হবে না। তারা আছে ভেজাল বাধাবে, গণ্ডগোল পাকাবে। তারা পকেট ভারী করবে।’ তাই তাদের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস