কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন
১১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪২
ঢাকা: চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঝিনুকের আদলে তৈরি কক্সবাজার স্টেশনের নামফলক উন্মোচন করে রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে ঝিনুকের শহরে যাওয়ার পথ খুলে গেল। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন এবং পতাকা উড়ান ও হুইসেল বাজান। তারপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন।
এর আগে, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তর জানারঘোনা এলাকায় স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন তিনি। এছাড়া আরও ১৫ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
সুধী সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী চলে যাবেন মাতারবাড়ী। সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কক্সবাজার সফর নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: উদ্বোধন হচ্ছে ১৫ প্রকল্প, অর্থনীতির কেন্দ্রে উঠে আসবে কক্সবাজার
উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপর করা প্রকল্পগুলোসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়নাধীন ৫৩টিরও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পও। এসব প্রকল্পের ব্যয় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বেশি। এসব প্রকল্প কক্সবাজারকে নতুন চেহারা দেবে, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা সরকার। ওই বছরের ৩ এপ্রিল দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত রেলপথ ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও ১২ কিলোমিটার।
২০১১ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ডুয়েল গেজ ও সিংগেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। তবে কাজ শুরুর আগেই ২০১৬ সালে প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের যেসব কাজ শেষ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৯টি সেতু, ২৪২টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। ১০০ কিলোমিটার এই রেলপথে স্টেশন থাকবে ৯টি, এর মধ্যে ছয়টির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ। বাকি তিনটি স্টেশনের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এনএস