ট্রেনে চড়ে রামুর পথে প্রধানমন্ত্রী
১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৩
কক্সবাজার: বিশেষ ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারের রামুর পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লাল-সবুজ ঝকঝকে ১৯ বগির এই ট্রেনে করে কক্সবাজার রেলস্টেশন থেকে রামু স্টেশনে যাবেন তিনি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টা ২৮ মিনিটে কক্সবাজার রেলস্টেশন ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ১৯ বগির এই ট্রেনটি। এরপর ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রামুতে পৌঁছাবে এই ট্রেন।
এর আগে, শনিবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের উত্তর জানারঘোনা এলাকায় স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ঝিনুকের আদলে তৈরি কক্সবাজার স্টেশনের নামফলক উন্মোচন করে রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পাশাপাশি প্রস্তুত অন্য প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটননগরী কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা সরকার। ওই বছরের ৩ এপ্রিল দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত রেলপথ ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও ১২ কিলোমিটার।
২০১১ সালে উদ্যোগ নেওয়া হলেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ডুয়েল গেজ ও সিংগেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয়েছিল এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। তবে কাজ শুরুর আগেই ২০১৬ সালে প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে ব্যয় ধরা হয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বাকি খরচ বহন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করেছে।
প্রকল্পের আওতায় ১০০ কিলোমিটার রেললাইন ছাড়াও কক্সবাজার সদর, রামু, ইসলামাবাদ, ডুলাহাজরা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারীতে মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রকল্পটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কক্সবাজারের ‘আইকনিক’ ঝিনুক আকৃতির স্টেশন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের যেসব কাজ শেষ হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৩৯টি সেতু, ২৪২টি কালভার্ট ও ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং। ৯টি স্টেশনের মধ্যে ছয়টির নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ। বাকি তিনটি স্টেশনের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/এনএস