গুলশানের চেয়ে সুন্দর হবে ভাষানটেক: মেয়র আতিক
১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৫
ঢাকা: পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে মিরপুরের ভাষানটেক গুলশানের চেয়েও সুন্দরভাবে সাজানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেকে এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় মেয়র ডিএনসিসির ১৫ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এই এলাকার হোল্ডিং নং ২৮৮/৫ থেকে ৯৮/২ হয়ে উত্তর ভাষানটেক পর্যন্ত ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কি.মি. সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন।
মেয়র বলেন, ‘আলবরদীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদীসহ বেশ কয়েকটি টেক নিয়ে ভাষানটেক এলাকাটি গঠিত। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। ফলে বৃষ্টি হলে উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।’
‘উত্তরা থেকে জসিমউদদীন রোড হয়ে এয়ারপোর্টের পেছন দিয়ে ইসিবি চk পর্যন্ত একটি প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণ হলে খুব অল্প সময়ে এই এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। মাস্টারপ্লানে সবকিছু আছে। ভাষানটেক এলাকা গুলশানের থেকেও সুন্দরভাবে সাজানো হবে। এখানে কয়েকটি খাল রয়েছে। এগুলো উন্নয়ন করা হবে, খালের পাড়ে সাইকেল লেন হবে, সবুজায়ন হবে।’
ভাষানটেক এলাকে সাজাতে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছেন জানিয়ে মেয়র এ সময় প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণে এলাকাবাসীর সাহায্য চান। তিনি বলেন, ‘দেখেন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে? বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকরী টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ ফুট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দেন। সড়ক এর চেয়ে কম প্রশস্ত হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না৷ তাই ২০ ফিট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি করপোরেশন নির্মাণ করবে না।’
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই এলাকায় টেকসই উন্নয়ন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ভাষানটেকের বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করার জন্য। আমি এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছি। বস্তিবাসীদের জন্য বাসযোগ্য সুন্দর ভবন নির্মাণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমি চাই না বস্তির পরিবর্তে আবার বস্তি হোক। পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ আধুনিক সুবিধা সংবলিত থাকার জায়গা নির্মাণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহির আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/আরএফ/একে