Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে জনগণই রুখে দাঁড়াবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯

ঢাকা: বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে সংহিসতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণই এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।

রোববার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক দলটি যে কার্যক্রম করছে তাদের জন্য এটা নতুন নয়। তারা যখনই বুঝে গেছে, জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, ভোট যুদ্ধে জয়ী হতে পারবে নাম, তখনই তারা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মতো ধরনের সহিংসতা ঘটাচ্ছে। জান মালের ক্ষতি করেছে, হাজার মানুষ পুড়িয়ে মারছে ও সম্পদ অগ্নিদদ্ধ করেছে- এগুলো তাদের পুরনো ইতিহাস। একুশে আগস্ট গ্রেনেড মেরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের কর্মকাণ্ড দেখে জনগণ যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখনই আরেকটি নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিদেশি প্রভুদের ধরে কিছু করা যায় কিনা, সে উপায় খুঁজছে। এদেশের সরকার পরিবতর্ন করতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’

অবরোধে সবকিছু চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্লেন, ট্রেন, নৌ, বাস চলছে সব চলছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তারা সহিংসতা করছে। বাধ ভেঙে গেলে জনগণই তাদের রুখে দাঁড়াবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেশের সেরা হাসপাতাল থেকে তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এবং বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞরা এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কাজেই চিকিৎসার ঘাটতি হচ্ছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।’

জ্বালাও-পোড়াও নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ দেশের জনগণও যথেষ্ট সজাগ হয়েছে। জনগণও তাদের ধরিয়ে দিচ্ছে। জনগণ যখন ঘুরে দাঁড়াবে, তখন এগুলো অটোমেটিক্যালি বন্ধ হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা কারাগারে, এমন অবস্থা থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, এটা তাদের ব্যাপারে। আমাদের কথা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে লঙ্কাকাণ্ডের আগে আমরা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ধরিনি। সেখানে যখন নৃশংসতা ও বর্বরতা চলছে, তখন তারা মঞ্চে বসে ছিলেন। তারা তো জাতির উদ্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে বলতে পারতেন যে, আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু কর্মী এসব করেছে। এটা আমাদের কাম্য ছিল না। কিন্তু দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে তারা হরতালের ডাক দিয়েছেন।’

‘বাসে হেলপার শুয়ে ছিলেন, পাহারা দিচ্ছিলেন, তাকেসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাসটি। এতে কী প্রমাণ হয়? বিএনপির বড় বড় নেতারা কি এর দায় এড়াতে পারবেন? তারা বলতে পারতেন— তোমরা বাসে আগুন দিও না, তোমরা মানুষ হত্যা করো না। বিএনপি নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা এসব থেকে বিরত থাকবে বলেই আশা করছি’— বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

বিএনপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর