বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে: মেয়র তাপস
১২ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪২
ঢাকা: রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ মার্কেট অবৈধ দখলদার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এবং পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস। দখলদার প্রতিরোধে প্রতিটি মার্কেটেই নিয়মিত নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (১২ নভেম্বর) দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বিপনী বিতান এবং ধূপখোলা মাঠ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আয়োজিত ‘দোকান বরাদ্দ লটারি’ অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা দেখি এখনও ঢাকার অধিকাংশ মার্কেট অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে। আমরা সেটি ভাঙার চেষ্টা করছি। আমরা চাই, প্রত্যেকটা মার্কেটে নিয়মিত নির্বাচন হোক। নিয়মিত দোকানদার প্রতিনিধিরা ভোটার হবে। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করবে। প্রত্যেকটা মার্কেটে যথারীতি যথানিয়মে নির্ধারিত মেয়াদেই নির্বাচন সম্পন্ন করে দোকানদার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মার্কেটগুলো পরিচালিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তাহলে শুধু আমাদের অংশেই নয় মার্কেট অংশেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সবাই জবাবদিহিতার মাঝে আসবে।’
দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘দোকান বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্তদেরটা নির্ধারণ করার পরেই বাকি যেগুলো নির্মাণের জন্য প্রস্তুত হয়, সেগুলো আমরা বাকি বরাদ্দ প্রত্যাশীদের দিয়ে থাকি। আপনারা যারা দোকান বরাদ্দ পাবেন তাদেরকে অগ্রিম অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর যারা পাবেন না, তারা ৩০ দিনের মধ্যেই আপনাদের (জামানতের) অর্থ ফেরত পেয়ে যাবেন। এটিও কিন্তু একটি নতুন সংযোজন। অর্থ ফেরত পেতে কোনো রকম কোনো হয়রানি বা সমস্যা হয়েছে এরকম কোনো নজির নেই। আগে দেখা গেছে, যে (জামানতের) অর্থ জমা দেওয়া আছে ১২ বছর হয়েছে। কিন্তু সে অর্থ ফেরত পায়নি, মার্কেটও নির্মাণ হয়নি। স্বচ্ছতা এবং সততার সাথে আমাদের রাজস্ব বিভাগ কাজ করছে, এটি তারই একটি প্রতিফলন।’
শুধু নতুন নির্মাণই নয় পুরনো মার্কেটও দ্রুত সংস্কার করে তা বরাদ্দপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে সিদ্দিক বাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে বরাদ্দকারীদেরকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। লটারিসহ সব কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আশা করি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাঝে সেটি হস্তান্তর করতে পারব। মেরাদিয়া কাঁচা বাজার মার্কেটও আমরা নির্মাণ করছি। এভাবেই সূচি অনুযায়ী আমরা একেকটি মার্কেটের নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করছি এবং সেগুলোর অগ্রগতি আমরা বারবার খেয়াল রাখছি। এছাড়াও আমরা নতুন মার্কেটগুলো যেভাবে নির্মাণ করছি তার সাথে সাথে পুরনো মার্কেটগুলোও দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে আমাদের দোকানদারদের মাঝে আমরা সেগুলো হস্তান্তরের কার্যক্রম নিয়ে চলেছি।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বহুতল বিপনী বিতানে ৩৫১ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ মোট ৪২৬ জন এবং ধুপখোলা মাঠ মার্কেটে ২৬৬ জন ক্ষতিগ্রস্তসহ ৩৫৫ জন বরাদ্দগ্রহীতাকে দোকান বরাদ্দের কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়।
করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরএফ/একে