চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ার অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজ
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০১:১৯
ঢাকা: রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌ বহরের জাহাজ এগুলো। এর মধ্যে দুটি জাহাজ হলো, বৃহৎ অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল ট্রিবুটস এবং অ্যাডমিরাল প্যান্টেলিয়েভ। অপর জাহাজটি হলো মহাসাগরীয় ট্যাঙ্কার পেচেঙ্গা। ঢাকায় রুশ দূতাবাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, বাংলাদেশের বন্দরে সর্বশেষ রুশ কোনো যুদ্ধজাহাজ এসেছিল ৫০ বছর আগে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে মাইন অপসারণের জন্য রুশ যুদ্ধজাহাজের সাহায্য নিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্তিতস্কি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম তাস নিউজকে বলেন, আসলে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনকারী তরুণ দেশটিকে একটি মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে রুশ যুদ্ধজাহাজ শেষবার এখানে এসেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বন্দরের জলে অনেক মাইন রাখা হয়েছিল, এতে কয়েক ডজন জাহাজ ডুবে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই সমস্যা সমাধানে বহু দেশের কাছে সাহায্যের জন্য গিয়েছিল। কিন্তু তাদের কেউ কেউ এ কাজে রাজি হলেও বড় অংকের অর্থ দাবি করেছিল, যা সে সময় বাংলাদেশের কাছে ছিল না। শুধুমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়নই মানবিক কারণে সহায়তা দিতে রাজি হয়েছিল।
মাইন অপসারণ অভিযান ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৪ সালের জুন পর্যন্ত চলে। সোভিয়েত নৌবাহিনীর ৮০০ জন নাবিক ২৬ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম বন্দরকে নিরাপদ করে। মাইন অপসারণ অভিযানে একজন রাশিয়ান নৌ ডুবুরি মারা যান।
চট্টগ্রামে রাশিয়ার অনারারি কনসাল আশিক ইমরান তাস নিউজকে বলেন, এখন রাশিয়ান নৌ নাবিকরা আবার বন্দরে এসেছেন। এবার এটা কেবল বন্ধুত্বপূর্ণ সফর। তিনি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে, দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক বর্তমানে খুব উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।
সারাবাংলা/আইই