Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিকিৎসায় মানবিকীবিদ্যার মিলন দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশে

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৫

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: একটি মানবশিশুর জন্ম মানেই জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে অবধারিতভাবে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া। তার সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন ধরনের রোগের— কোনোটি সহজে আরোগ্য, কোনোটি দুরারোগ্য, কোনোটি আবার আরোগ্যের অতীত। রোগ যেমনই হোক, মানুষের চাওয়া থাকে তার উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়া। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবায় যারা যুক্ত, তাদের কাছ থেকে যেন মানসিক সমর্থনটা পাওয়া যায়। ওষুধ-পথ্যের পাশাপাশি সেই মানসিক সমর্থনের মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তি ও তার স্বজনদের চাঙ্গা রেখে চিকিৎসার যে পদ্ধতি, সেটিই হেলথ হিউম্যানিটিজ।

বিজ্ঞাপন

যে মানুষটি এরই মধ্যে নানা ধরনের অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত কিংবা যাকে দুরারোগ্য কোনো ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিতে হচ্ছে, তাদের জীবনকে আরও কিছুটা নির্ভার ও চিন্তামুক্ত করার প্রক্রিয়া নিয়েই হেলথ হিউম্যানিটিক কাজ করে থাকে। এই পদ্ধতিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে মিলন ঘটানো হয় মানবিকীবিদ্যার। অসুস্থ ব্যক্তি ও তার স্বজনদের নানা ধরনের মানসিক সমর্থন ও থেরাপির মাধ্যমে যতটাসম্ভব নির্ভার করে তোলার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর জীবনকে কিছুটা আরামদায়ক করে তোলা হয় এই পদ্ধতিতে।

বিজ্ঞাপন

প্রায় সাত দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরুর পর হেলথ হিউম্যানিটিজ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তুলনামূলকভাবে এশিয়ায় এর আগমনটা একটু পরে, দক্ষিণ এশিয়ায় একেবারেই নেই। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে হেলথ হিউম্যানিটিজ। রাজধানীর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের তত্ত্বাবধানে চালু হতে যাচ্ছে হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাব।

হেলথ হিউম্যানিটিজের সূচনা যেভাবে

হেলথ হিউম্যানিটিজের যাত্রা শুরু ১৯৪৮ সালে জর্জ সার্টন ও ফ্রান্স সাইগেল নামে দুজনের হাত ধরে। পরে তাদের এই উদ্যোগ স্বীকৃতি পায় ১৯৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনিসিলভিনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিজ কলেজ অব মেডিসিনে ডিপার্টমেন্ট অব হিউম্যানিটিজ চালুর মাধ্যমে। চিকিৎসার কলাকৌশল ও দক্ষতা অর্জনের পাঅাপাশি মমত্ববোধ ধারণ করে চিকিৎসকরা কীভাবে সহানুভূতির সঙ্গে মানবিক হয়ে রোগীদের সেবা দেবেন, শুরুতে সেই পাঠই দেওয়া হতো এই বিভাগে।

শুরুতে একে বলা হতো মেডিকেল হিউম্যানিটিজ। পরে এর পরিসর আরও বিস্তৃত করা হয়। চিকিৎসক ও রোগীর মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে এতে একদিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীকে, অন্যদিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় রোগীর পরিবারের সদস্য বা স্বজনদেরও। মেডিকেল হিউম্যানিটিজ থেকে তখন এটি পরিণত হয় হেলথ হিউম্যানিটিজে।

হেলথ হিউম্যানিটিজের কাজ কী?

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এবং হেলথ হিউম্যানিটিজ ও ট্রমা স্টাডিজ গবেষক ফারাহ বিনতে বশির দোলন সারাবাংলাকে বলেন, মূল বিষয় হলো মেডিক্যাল সায়েন্স বা চিকিৎসাবিজ্ঞান ও হিউম্যানিটিজ বা মানবিকী বিদ্যা— এই দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা। মানবিকীবিদ্যার মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানের গতি অগ্রসর করাই হলো এর কাজ।

ভারতীয় বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ‘দ্য টেস্ট অব মাই লাইফ’ বইটি যখন লিখেছিলেন তখন তিনি ছিলেন ক্যানসারে আক্রান্ত। অন্যদিকে ‘হোয়েন ব্রেথ বিকামস এয়ার’ বইটি লিখেছেন পণ কালানিথি, যিনি ছিলেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জাতীয় পুরস্কার থেকে নানা অর্জনে সফল এই ব্যক্তি যখন জানতে পারলেন তিনি চতুর্থ পর্যায়ের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত, ঠিক সেই সময়কার অভিজ্ঞতা, জীবন-মৃত্যুর লড়াই আর চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্কের এক মর্মস্পর্শী আখ্যান কালানিথির বইটি।

গবেষক ফারাহ বলছেন, এ ধরনের বইগুলো যদি চিকিৎসকদের পড়া থাকে সেই চিকিৎসকরা নিজের ও রোগীর প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে উঠবেন। তিনি যখন একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেবেন, তিনি অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতি অনেক বেশি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবেন। একজন চিকিৎসক নিঃসন্দেহে তার চিকিৎসাবিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়েই অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেবেন। এর সঙ্গে তার মানবিক অনুভূতিগুলোও অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সজাগ হয়ে উঠলে সেই সম্মিলনকেই আমরা বলছি হিউম্যানিটিজ।

হেলথ হিউম্যানিটিজ কীভাবে কাজ করে?

চিকিৎসাবিজ্ঞান অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি বিষয়। চিকিৎসকসহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা, তারা যেকোনো ধরনের রোগ বা অসুস্থতার বিষয়ে খুঁটিনাটি পর্যন্ত জ্ঞান রাখেন। কিন্তু মেডিকেল সায়েন্সের সেই পরিভাষা সবার জন্য বোধগম্য নাও হতে পারে, যেখানে কাজ করবে হেলথ হিউম্যানিটিজ।

হেলথ হিউম্যানিটিজ গবেষক ফারাহ বিনতে বশির বলেন, কারও মাথা ব্যথা হলে তার কার্যকারণ চিকিৎসক মেডিকেলের পরিষাভায় ব্যাখ্যা করলে তা হয়তো কেউই বুঝবেন না। অন্যদিকে যিনি মাথাব্যথায় ভুগছেন, তিনি হয়তো বলবেন মাথার কোনো অংশ কামড়াচ্ছে বা ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার সঙ্গে মাথা ব্যথা নিয়ে সাধারণ পরিভাষায় যোগাযোগ করতে পারাটাই হেলথ হিউম্যানিটিজ।

কোনো রোগে কেউ আক্রান্ত হতে সাধারণভাবে তাকে রোগী বলা হয়। ফারাহ বলছেন, রোগ ও রোগী শব্দ দুটি নিয়ে সবার মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণাও কাজ করে। হেলথ হিউম্যানিটিজের কাজ শুরু একদম এখান থেকেই। এই বিদ্যালয় রোগকে বলা হয় অসুস্থতা, রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বলা হয় ভুক্তভোগী। অর্থাৎ তিনি যে কোনো সমস্যায় ভুগছেন, শুরুতেই সেটি বলার মাধ্যমে তার প্রতি সহমর্মিতা দেখানো হয়।

ফারাহ বিনতে বশির বলেন, স্তন ক্যানসার কিংবা বন্ধ্যার মতো অসুস্থতাগুলো কেবল দুরারোগ্য নয়, এগুলো নিয়ে এক ধরনের ‘সামাজিক স্টিগমা’ও রয়েছে। সামাজিক এই দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত কোনো নারীকে স্তন কেটে ফেলতে হলেও তিনি সহজে কাটতে চান না। অন্যদিকে বন্ধ্যাত্ব নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও নারীদেরই কেবল বন্ধ্যাত্বের জন্য সামাজিকভাবে নিগ্রহের শিকার হতে হয়। এ ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে লেখালেখি কিংবা অডিও-ভিজ্যুয়াল যেকোনো মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির বিষয়গুলোও হেলথ হিউম্যানিটিজের অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী যখন এই বিষয়গুলো ‘ভুক্তভোগী’ বা তার স্বজনদের ব্যাখ্যা করতে পারবেন তখন তাদের জন্য এসব অসুস্থতাও স্বাভাবিক মনে হবে এবং চিকিৎসা গ্রহণ তাদের জন্য সহজ হবে। সে হিসেবে এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়াও বটে।

ফারাহ বিনতে বশির বলেন, ডায়াবেটিস বা ক্যানসারের মতো অনেক অসংক্রামক রোগই রয়েছে যেগুলো সহজে সারে না। চিকিৎসাবিজ্ঞান এসব রোগের চিকিৎসা দিলেও সম্পূর্ণ সুস্থতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আবার কিছু শারীরিক সক্ষমতার ঘাটতি বা অক্ষমতাও রয়েছে; যার কোনোটি হয়তো জন্মগত, আবার কোনোটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে। এসব ক্ষেত্রে দুর্ভোগ এত প্রবল যে ভুক্তভোগী নিজেও অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে এক ধরনের মানসিক পীড়া অনুভব করেন। স্বজনদের অনেকেও হয়তো তাকে ঘিরে নেতিবাচক কথাবার্তা বলেন। হেলথ হিউম্যানিটিজের কাজটি ঠিক এই জায়গাতেই, চিকিৎসার পাশাপাশি অসুস্থতাকেও সহজভাবে নিতে সহায়তা করা।

হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাব কীভাবে কাজ করবে?

ক্রনিক অসুস্থতা বা শারীরিক অক্ষমতা উভয়ের জন্যই যে অসুস্থতার অনুভূতি বা ‘ইলনেস ন্যারেটিভ’, সেগুলো উপশমে কার্যকর হতে পারে থেরাপি। ফারাহ বিনতে বশির বলেন, এই থেরাপি অনুযায়ী মানুষ তাদের অসুস্থতার কথা লিখলে বা বলতে পারলে তাদের মানসিক চাপ কমে যায়। মানুষ যখন তার কোনো ট্রমার কথা যতবার বলবে ততবার তার ক্ষতের মাত্রা কমতে থাকবে। এমন আরও কিছু থেরাপি আছে। যেমন— মাটি, বায়ু, আগুন, অর্থাৎ একদম প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করেও বিভিন্ন ধরনের থেরাপি রয়েছে।

হেলথ হিউম্যানিটিজে সংগীতের ব্যবহার তুলে ধরে ফারাহ বলেন, এ ছাড়াও আছে নিউরো থেরাপি। বিভিন্ন ধরনের মিউজিক মস্তিষ্কে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে, যে হরমোন মানুষের মধ্যে অনুভূতির তারতম্য ঘটায়। এখন বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মিউজিকের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর মস্তিষ্কে ওই সুনির্দিষ্ট হরমোন নিঃসরণ করানো সম্ভব, যা তাকে মানসিকভাবে আগের চেয়ে ভালো অনুভব করাতে সহায়তা করবে।
এ ছাড়া পেইন্টিং কিংবা অন্যান্য শিল্পমাধ্যম ব্যবহার করেও নিউরো থেরাপি দেওয়া যায় বলে জানান ফারাহ। বলেন, মানুষ যখন কিছু নির্ধারিত রঙ কিছু সময় বা দিনের পর দিন নির্দিষ্ট সময় ধরে দেখতে থাকে তখন মানুষের মস্তিষ্ক কিছু সুনির্দিষ্ট কিছু হরমোন নিঃসরণ করে। আমরা সে ধরনের কিছু থেরাপিউটিক পেইন্টিং ও মিউজিক্যাল হার্জ দিয়ে এবং একইসঙ্গে পানির শব্দ, মাটির স্পর্শ বা মান্ডালা আর্ট বা কনসেন্ট্রেশন ডেভেলপমেন্ট করে মানুষের মানসিক অস্থিরতা দূর করার জন্য কাজ করে থাকি। হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাবে আমরা এরকম কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।

হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাবের কার্যকারিতা প্রমাণ হবে কীভাবে?

হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাবে থেরাপি নিলে কিংবা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেওয়ার পর অসুস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কি না, তা লিথিয়াম টেস্টের মাধ্যমে পরিমাপ করা সম্ভব বলে জানান উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও হেলথ হিউম্যানিটিজ গবেষক ফারাহ বিনতে বশির দোলন। তিনি বলেন, ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ পরিমাপের এটি একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। কোনো ব্যক্তির এই সেবা নেওয়ার আগের ও পরের লিথিয়াম টেস্টের মাধ্যমেই তার পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব। এ ছাড়াও সিটি স্ক্যান বা এমআরআইয়ের ব্যবহারও রয়েছে। বিশেষ করে আলঝেইমারে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের হরমোন নিঃসরণ এমআরআইয়ের মাধ্যমে জানা যেতে পারে।

বাংলাদেশে হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাব

ভারতের ইউনিভার্সিটি অব হায়দারাবাদ থেকে হেলথ হিউম্যানিটিজে পড়ালেখা করেছেন ফারাহ বিনতে বশির দোলন। তিনি জানান, বাংলাদেশে এই বিষয়ে এর আগে কোনো কাজ হয়নি। তিনি বিষয়টি নিয়ে পড়ালেখা করে দেশে ফিরেই উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হেলথ হিউম্যানিটিজ ল্যাবটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যোগাযোগ করছেন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালের সঙ্গে, যেন এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসকদের হেলথ হিউম্যানিটিজ নিয়ে প্রশিক্ষিত করা যায় এবং ল্যাব ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের মানসিক সেবা দেওয়া যায়।

ফারাহ বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন কিছু না হলেও এশিয়ার জন্য মেডিকেল হিউম্যানিটিজ অনেকটা নতুন কনসেপ্ট বলা যায়। ভারত ও শ্রীলংকার কিছু গবেষক এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে তাদের কোনো ল্যাব নেই, যা আমরা বাংলাদেশে করতে যাচ্ছি। ল্যাবের পাশাপাশি আমরা চিকিৎসকদের একটি নেটওয়ার্ক করার চেষ্টা করছি যারা হেলথ হিউম্যানিটিজকে প্রয়োগের জায়গায় কাজ করবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ সায়েমের মতো চিকিৎসকরা দেশে হেলথ হিউম্যানিটিজের যাত্রার সূচনালগ্নে যুক্ত রয়েছেন। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) ল্যাবটির উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর। উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সামজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইয়াসমিন আরা লেখা।

ফারাহ বলেন, হেলথ হিউম্যানিটিজ বিষয়ে ভারত ও শ্রীলংকার বেশ কয়েকজন গবেষক আমাদের ল্যাবের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে পাশে থাকতে সম্মতি জানিয়েছেন। আশা করছি খুব দ্রুতই এই ল্যাবের মাধ্যমে আমরা ভুক্তভোগীদের (চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাদের রোগী বলা হয়) দ্রুত সেবা দিতে পারব।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাবিজ্ঞান চিকিৎসাবিজ্ঞানে মানবিকীবিদ্যা ফারাহ বিনতে বশির ফারাহ বিনতে বশির দোলন মানাবকীবিদ্যা হেলথ হিউম্যানিটিজ