কর্ণফুলী নদী দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯
ঢাকা: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, পটিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলায় অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর মূল সীমানা (সিএস/আরএস দাগ অনুসারে) বিশেষ দলের মাধ্যমে জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণকাজ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী রক্ষার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে স্থায়ী স্থাপনা, মাটি ভরাট ও দখল অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
পরিকল্পনা সচিব, পরিবেশ সচিব, ভূমি সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
‘কর্ণফুলী দখল করে তৈরি হচ্ছে ড্রাই ডক’ শিরোনামে গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিনজন আইনজীবী গত ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস