চবিতে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দিলো ছাত্রলীগ
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ফটকে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের একটি অংশ। এমনকি দুই ছাত্রলীগ কর্মীর দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলও আটকে আছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মীরা।
জানা গেছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বিভাগের ২য় বর্ষের ২০৪ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন হাসিব ও হাবিব নামে দুই শিক্ষার্থীর নকল ধরেন দায়িত্বরত শিক্ষক সভাপতি আসমা আক্তার। ওই পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. মো. আবুল হাসেম।
পরে তাদের পরীক্ষার খাতা রেজিস্ট্রার অফিসে পাঠানো হলে গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি চবি শৃঙ্খলা কমিটি। যার কারণে, ওই দুই শিক্ষার্থীর ২য় বর্ষের রেজাল্ট আসেনি। এমনকি তারা ৩য় বর্ষেও ভর্তি হতে পারেননি।
এর মধ্যে বছর ঘুরে ৩য় বর্ষের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে, গত এক বছরেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ছাত্রলীগের কর্মীরা বিভাগের অফিস ও পরীক্ষার হলে তালা ঝুলিয়ে দেন।
পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ড. আবুল হাসেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাজ। আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে আমাদের কোনো কাজ নেই।’
বিভাগের সভাপতি আসমা আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তাদের খাতা পাঠিয়ে দিয়েছি রেজিস্ট্রার অফিসে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে চবির শৃঙ্খলা কমিটি। তবে, তাদের জন্য কোনো সুপারিশ করা যায় কিনা তা বিভাগের একাডেমিক কমিটিতে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা সারাবাংলাকে বলেন, ‘গত বছর তাদের নকল ধরা হলেও বিভাগ আমাদের খাতা দিয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। তাছাড়া, এরইমধ্যে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং না হওয়ায় কিছুদিন আগেও আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন না। মিটিং হলে সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরকম নকল ধরা পড়লে শিক্ষার্থীদের সাধারণত এক বছরের জন্য এক্সপেল করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই দুই শিক্ষার্থীকে বলেছিলাম, তোমরা দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে আবার পরীক্ষা দাও। তারা কথা শুনেনি। ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় বর্ষের দুইটি পরীক্ষা চলে গেছে। এখন তারা যদি এক বছরের জন্য এক্সপেল হয়, তাহলে দুই বছরের একাডেমিক গ্যাপে পড়ে যাবে। তবে, বিভাগ যদি সুপারিশ করে শাস্তি কমানোর জন্য, তাহলে শৃঙ্খলা কমিটির মিটিয়ে তাদের বিষয়ে উপাচার্য বিবেচনা করতে পারেন।’
সারাবাংলা/এমএ/একে