দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গ্যাস পেল রংপুরবাসী
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:৫১
রংপুর: রংপুর বিভাগের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সুবিধার। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির ফল হিসেবে অবশেষে গ্যাস পেল রংপুরবাসী।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বগুড়া থেকে রংপুর ও নীলফামারী পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর চৌরাহাট এলাকায় গ্যাস স্টেশন প্রাঙ্গণে ফলক উন্মোচন ও গ্যাস প্রজ্জ্বলন করেন পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার।
জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘সরকার উত্তরাঞ্চলে শিল্পায়নের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মানুষকে শ্রমে যুক্ত করাসহ নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে চায়। তাই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূর থেকে রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা আপাতত শিল্প এলাকায় গ্যাস দেব। ২০২৬ সালে আমাদের পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা অর্জনের কথা। এটি হলে সর্বক্ষেত্রেই গ্যাস সরবরাহ করা হবে।’
প্রেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড বিতরণ পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করবে। তারা পাইপসহ সব ধরনের সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিয়ে গেছে। গ্যাসের পরিমিত ব্যবহার করে শিল্প এলাকায় গ্যাস দিতে আমরা কাজ করছি। সেই সঙ্গে সংযোগকৃত এলাকায় গ্যাসের চাপ যেন ঠিক থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।’
এ সময় গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রুখসানা নাজমা ইছহাক, মহাব্যবস্থাপক (ট্রান্সমিশন বিভাগ) প্রকৌশলী মো. জাহির উদ্দিন, রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর হোসেন, পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম আরও অনেকে উপস্থিত ছিল।
এই প্রকল্পের আওতায় বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর ১৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার, নীলফামারী ও উত্তরা ইডিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার। বিতরণ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে। তবে বিতরণ লাইনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এর সুবিধা পাচ্ছেন না।
প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আর পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বহুল কাঙ্ক্ষিত উত্তরের এই গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইনটির ডিপিপিতে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ছিল। পরে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা ও করোনার কারণে ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয়।
সারাবাংলা/আরএইচএস/এনএস