‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে’
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপি-জামায়াত চক্র তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম সুজন।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর দারুল ফজল চত্বর থেকে সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ১৪ দলের গণপ্রচারণায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, নির্বাচন কমিশন যখনই বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তখনই এ নির্বাচন বানচালে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত চক্রটি নির্বাচনে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচন বানচালে উঠেপড়ে লেগেছে। আর তাদেরকে পেছন থেকে শক্তি যোগাচ্ছে একটি বিদেশি রাষ্ট্র। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে যে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এ রাষ্ট্র কারো চোখ রাঙানিকে ভয় করে না। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সংবিধান মোতাবেক হবেই এবং কোন অপশক্তি যাতে এ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সেজন্য রাজপথে সক্রিয় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সংগঠন ১৪ দল। আর তাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্টানের দাবিতে গণপ্রচারনায় নেমেছে ১৪ দলের নেতারা।
সুজন বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্রটি মাঠের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে মাঠে নেমেছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তারা জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। অবরোধের নামে চক্রটি জনজীবনকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু তাদের অবরোধকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজপথে নেমে এসেছে শত শত গণপরিবহন এবং বিভিন্ন যানবাহন। আর এতেই বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়েছে এসব যানবাহনগুলো।
যাত্রীবেশে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা এসব গণপরিবহন পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। এতে করে ওই গণপরিবহনের উপর নির্ভরশীল পরিবারটি একেবারে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই তাদের অগণতান্ত্রিক ও ধ্বংসাত্মক এসব কর্মসূচীকে আর কোনভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেন ১৪ দলের সমন্বয়ক সুজন।
১৪ দলের এ নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। তাই তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দল।
এসময় আরও বক্তব্য দেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমুদ্দিন বাবুল, সদস্য বেলায়েত হোসেন, ন্যাপের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য গাজী আলমগীর কবির, সদস্য মিটুল দাশগুপ্ত, নগর সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ মজুমদার, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী, গণআজাদী লীগের নগর সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী, জাতীয় পার্টি (জেপি) নগর সাধারণ সম্পাদক বেলাল মৃধা, বন্দর থানা আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম, মনিরুল হক মুন্না, হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম, হাবিব রহমান, আরাফাত রুবেল ও এইচ এম বেলাল উদ্দিন।
গণপ্রচারণাটি দারুল ফজল মার্কেট হয়ে কাজীর দেউড়ি, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, গনি বেকারী, কাজীর দেউড়ি ও লাভলেইন হয়ে পুনরায় দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে এসে শেষ হয়।
গণপ্রচারণায় ১৪ দল নেতাদের বক্তব্যের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টানেল থিম সং “দইজ্জার তলে চলের গাড়ি” পরিবেশন করা হয়।
সারাবাংলা/আইসি/এনইউ