শেখ রেহানার গানের প্রতিভা জনসম্মুখে আনলেন শেখ হাসিনা
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২২:১৮
ঢাকা: শেখ রেহানা ভালো গান গাইতে পারেন— এমন একটি প্রতিভা জনসম্মুখে আনলেন তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। বিশেষ করে আমার ছোট বোনটা (শেখ রেহানা) সঙ্গে আছে। সে নিজে কিন্তু ভালো গান করতে পারে। কিন্তু গায় না, ফাঁকি দেয়।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এ সময় দর্শকসারিতে তার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হিসেবে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। এর আগে, ৩১ অক্টোবর ২৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার একটাই দুঃখ যে, হলে যেয়ে সিনেমা দেখা হয় না। তবে আমি যখন বিমানে চড়ি তখন কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা দেখি। এবার তো লন্ডনে যাওয়ার সময় বোধহয়! না সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সময় পর পর দুইটা সিনেমা দেখলাম একইদিনে। মোটামুটি ওখানে যে কয়টা আছে আমার দেখা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর মাঝে মাঝে অনেকে আমাকে পেন ড্রাইভ পাঠায়। তখন সময়মতো মাঝে মধ্যে একটু দেখি। তবে একটানা বসে তো দেখার সময় হয় না। একটা রাষ্ট্র চালানো, ১৭ কোটি মানুষের বোঝা তো আমার কাঁধে। তাদের জন্য কাজ করে, ফাইল দেখতে আর ওই রিপোর্ট পড়তে পড়তেই সময় চলে যায়। এত পড়া যে পড়তে হবে এই বৃদ্ধ বয়সে এসে এটা কখনো ভাবি নাই।’
তিনি বলেন, ‘এখন মাঝে মাঝে দুঃখ হয়! মনে হয় যে, সত্যি যদি ছোটবেলা পড়তাম তাহলে তো প্রতিবার ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারতাম। কিন্তু আল্লাহ বোধ হয় তখন পড়তে দেয়নি। তুই বুড়ো বয়সে পড়বি- এখন সেটাই করতে হচ্ছে।’ শেখ রেহানা সিনেমা দেখায় সাহায্য করে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ও বসে বসে হুকুম দেয় ওই সিনেমা দেখো, ওটা তোমার দেখা উচিত। আমি না দেখলে ও যখন ঢাকায় থাকে সোজা সিনেমা আমাকে দেখায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাঝে মাঝে দেখি, ভুলেও যাই। এখন আমার বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিলই মনে থাকে, বাকি সব খুব একটা মনে থাকে না। ওর কাছে আবার জিজ্ঞিাসা করি, আমি যেন কোন সিনেমাটা দেখছি বলতো একটু! ও বলে দেয়। আমার সব কাজেই সে সাহায্য করে। এ ব্যাপারেও তার পরামর্শ আমি নিই।’
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা সত্যি খুব আনন্দিত আসতে পেরে। আমরা গান শোনার জন্য অপেক্ষা করব। রেহানা কিন্তু ওই গান শুনতেই এসেছে।’
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম