নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র এবারও বাংলার মানুষ প্রতিহত করবে
১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:২৭
ঢাকা: এই দেশে সংবিধানের ভিত্তিতে আগামী নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে মানুষ ভোটের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হবে। সেই সরকারের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। অতীতের ন্যায় এবারও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ প্রতিহত করবে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে আয়োজিত কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে নেতারা এসব একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনীর পক্ষ নিয়ে সরাসরি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। নারী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল। জিয়াউর রহমান তাদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। তাদের নিয়ে দল গঠন করেছে। একইভাবে তার পত্মী খালেদা জিয়াও সেই আলবদর-রাজাকারদের নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আল মোজাহিদদের নিয়ে দল গঠন, সরকার গঠন, জোট গঠন করেছে। বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে তারা এই দেশের পরাজিত শক্তির মুখপাত্র। তারাই বারবার প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত। আজ সেই শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে আমু বলেন, ‘তারা মনে করে বিগত দিনে নির্বাচনে যেমন ভরাডুবি হয়েছে আগামী নির্বাচনেও তাদের ভরাডুবি হবে। তাই ভয় পেয়ে আজ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র বাংলার মানুষ প্রতিহত করে আসছে এবং আগামী নির্বাচনেও করবে। এই দেশে সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মানুষের ভোটের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠিত হবে। সেই সরকারের মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিএনপির হয়ে তাদের প্রভু পশ্চিমা মিত্ররা ধমক দিত। আমাদের বলত, যদি এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে আমাদের উপরে। তারা স্যাংশন প্রয়োগ দেবে। কিন্তু গতকাল দেখলাম ঘটনা পাল্টে গেছে। এখন তারা রাজনীতিক দলগুলোর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে চিঠি নিয়ে। সেই চিঠিতে উল্লেখ আছে শর্তহীন সংলাপ করো।’
তিনি আরও বলেন, ‘শর্তহীন সংলাপ করতে হলে পরে প্রথমেই বিএনপি-জামায়াত এবং তার সহযোগীদের ওই একদফা পরিত্যাগ করতে হবে। যে এক দফার মধ্য দিয়ে তারা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে। কেবল এক দফা নয়, ওই তথাকথিত তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের দাবিও পরিত্যাগ করতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে কারাদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি তারেক রহমানের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া।’
বিএনপি-জামায়াত রাজপথ ছেড়ে পালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পালাইনি, পালিয়েছেন আপনারা। আপনারা গর্তে লুকিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশে সরকার কায়েম করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা চলমান রাখবে।’
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি। যেই বিদেশি শক্তি তাদের সহযোগিতা করেছিল। পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে। যেই বিদেশি শক্তি তাদের সহযোগী ছিল। আজ সেই শক্তির আবার বাংলাদেশের উন্নয়নকে অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়। আবার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। আবার তারা সন্ত্রাস করছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে। বাংলাদেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম