রাতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’: আবহাওয়া অধিদফতর
১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১১
ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে লঘুচাপটি ক্রমে শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর এই গভীর নিম্নচাপটি আজই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। মালদ্বীপের দেওয়া ‘মিধিলি’ নামের এই ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাতেই আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
আবাহাওয়া অধিদফতর বলছে, মিধিলি বাংলাদেশের দিকেই আসছে। তবে এটি খুব বড় মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, এটি ছোট আকারের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের পাশাপাশি এখন কিছু নদী বন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে ঢাকার আকাশ মেঘলা। সূর্য না দেখা যাওয়ায় তাপমাত্রাও বেশ কমে এসেছে। শীতের আমেজ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার বাতাসে।
আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী ( ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনইউ