মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৯
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ দুটি হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের উয়াইল গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে কফিল উদ্দিন, আওলাদ হোসেন, একই গ্রামের তৈমুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামের ব্রজেন্দ্র মণ্ডলের ছেলে রঞ্জিত কুমার মণ্ডল। দণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া সদর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রঞ্জিত কুমার মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আসামি পলাতক রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি দৌলতপুর উপজেলার উয়াইল গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আব্দুর রশীদের ৮ বছরের মেয়ে বিথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কফিল, আওলাদ ও দেলোয়ার। ঘটনার পরদিন বিথীর বাবা ওই তিনজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রাতে সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী রণজিৎ কুমার মন্ডলের হাতে খুন হন স্বরস্বতী মণ্ডল নামে এক গৃহবধু। রণজিৎ তার ফার্মে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে স্বরস্বতীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় পরদিন নিহতের মামা রণজিৎ ও তার ফার্মের কর্মী আতোয়ারকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। আদালত ওই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রনজিৎকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
রায়ে পলাতক রণজিৎকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হত্যার ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় আতায়োরকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।
নিহত সরস্বতী মণ্ডলের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী গ্রামে।
সারাবাংলা/একে