Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তফসিলের পর পুলিশি তৎপরতায় ঢাকায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি: ডিএমপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৯:২৩

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পুলিশি তৎপরায় রাজধানীতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে মহানগরের ভাষানটেক, শাহআলী ও শাহবাগ এলাকা থেকে বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-মাহফুজ হোসেন মুনা (২০), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. ফরহাদ (১৯), মো. মাহি (১৮), মো. আউলাদ হোসেন (১৮), মো. নাছিম (১৮), মো. আমজাদ আলী হোসেন (১৮), মো. তানভীর হোসেন (১৮), মো. নিজাম উদ্দিন (জসিম), নূর মোহাম্মদ শিকদার (২৩), মোহাম্মদ বখতিয়ার চৌধুরী শাহীন (২৪) ও মো. রুবেল (২০)। পুলিশ বলছে, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতাসহ অবরোধের সমর্থক ব্যক্তিরা রয়েছেন।

মহিদ উদ্দিন বলেন, গতকাল রাতে ভাষানটেক এলাকা থেকে আটজন, শাহআলী থেকে একজন ও শাহবাগ এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নিজাম উদ্দিন রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গ্রেফতার বাকি ব্যক্তিরাও অবরোধ কর্মসূচির সমর্থক, তবে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ভাষানটেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিস্ফোরক সামগ্রীসহ জমায়েত হওয়া আটজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, সেসব ব্যবহার করতে পারলে নাশকতার ব্যাপকতা আরও বাড়তে পারত।

বিজ্ঞাপন

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মহিদ উদ্দিন বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার প্রয়াস বেড়েছে। কয়েকটি এলাকায় ককটেল ছুঁড়ে মেরেছে, তবে পুলিশি তৎপরতার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঢাকার নিরাপত্তার প্রচেষ্টা সুদৃঢ় রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, শহরে যে পরিমাণ যানবাহন, সে পরিমাণ পার্কিংয়ের জায়গা নেই। যদি সিকিউরড (নিরাপদ) জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকত, তাহলে এক জায়গায় আমরা নিরাপত্তা দিয়ে রাখতাম। কিন্তু গাড়িগুলো ছড়ানো–ছিটানো থাকে, আর তারা সুযোগটা নেয়। এরপরও আমরা ১৯ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছি, এটা সহজ কাজ নয়।

বিস্ফোরক সামগ্রী কোথা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা জোগাড় করতে চায়, তারা ঝুঁকি নিয়েও জোগাড় করে। এরপরও আমরা খোলাবাজারে পেট্রল বিক্রির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। বিভিন্ন কেমিক্যাল, যেগুলো গার্মেন্টসে ব্যবহার করা হয়, দেখা গেছে, তারা সেগুলো কোনোভাবে সংগ্রহ করে বিভিন্ন সামগ্রী মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করে।

সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ

ডিএমপি ঢাকা তফসিল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর