গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ
১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৪০
ঢাকা: গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য নতুন ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রত্যাখ্যান করে এবং ২৫ হাজার টাকা মজুরি পুনর্নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশ থেকে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনসহ গ্রেফতার হওয়া সব শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তি, শ্রমিকদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধ করা, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের ব্যানারে শ্রমিকরা মিছিল-সমাবেশ করে এমন দাবি জানান।মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গঠিত গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ-সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা লিখিতভাবে মজুরি বোর্ডকে বলেছি, যে মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বাজারে উত্তাপ, শ্রমিকদের চাহিদা, ঘরভাড়া, বিদ্যুৎ, বাসভাড়া সমস্ত কিছু যখন ঊর্ধ্বমূখী তখন এই মজুরিতে শ্রমিকেরা চলতে পারে না। ১২ হাজার ৫০০ টাকায় শ্রমিকদের পক্ষে চলা সম্ভব না।‘
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি ইচ্ছা করলে শ্রমিকের মজুরি যথাযথ মর্যাদায় উন্নীত করতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে আমরা মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের যেসব শ্রমিক ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে কাজের পরিবেশ সৃষ্টি এবং শ্রমিকদের যথাযথভাবে মজুরি নিশ্চিত করুন।‘
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গঠিত গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি পুনর্বিবেচনা করুন। এটা কোন ছেলেখেলা নয়, এটা শ্রমিকদের রুটি-রুজির বিষয়, জীবন-জীবিকার বিষয়। আপনারা শ্রমিকদের সঙ্গে যা খুশি তাই করবেন আর শ্রমিকদের চুপ থাকতে বলবেন সেটা হতে পারে না। আমরা আবারও দাবি করছি, মজুরি পুনঃনির্ধারণ করুন।’
গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলনে নিহত আঞ্জুয়ারা, রাসেল, ইমরান ও জামাল হত্যার বিচার এবং হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে বাবুল হোসেনসহ গ্রেফতার হওয়া সব শ্রমিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। এছাড়া আঞ্জুয়ারা, রাসেল, ইমরান, জামাল হত্যার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তব্য দেন, শ্রমিক নেত্রী শবনম হাফিজ, শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলম, আবু সাঈদ, শহিদুল ইসলাম সবুজ, জিহাদুল ইসলামসহ অনেকে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমও