৩ জেলায় স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণায় মণিপুর সরকারের মামলা
১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১২:১৯
ভারতের মণিপুরে ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের (আইটিএলএফ) সাধারণ সম্পাদক মুয়ান টম্বিংয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তিনটি জেলায় স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) চুরাচাঁদপুর থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। খবর হিন্দুস্তান টাইস।
গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) মণিপুর সরকারের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘স্ব-শাসন’ সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য কুকি সম্প্রদায়ের সংগঠনের একজন সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে।
চুরাচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এন থাংজামুয়ান এই মামলা দায়ের করেন। ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র বা যুদ্ধ করার চেষ্টা করা বা যুদ্ধে মদদ দেওয়া, রাষ্ট্রদ্রোহ, দাঙ্গা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ঘটাতে ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কানি দেওয়াসহ আইপিসি’র ১২১এ, ১২৪এ, ১৫৩ এবং ১২০বি ধারায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: মণিপুরের ৩ জেলায় স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা
এর আগে, গত বুধবার ‘কুকি-জো আদিবাসীদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার’ তদন্তের দাবিতে চুরাচাঁদপুরে একটি গণসমাবেশ হয়। এ সময় মুয়ান টম্বিং সাংবাদিকদের বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে আলাদা প্রশাসনের দাবি না মেনে নেয় তাহলে এই গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত এলাকায় একটি ‘স্ব-সরকার’ প্রতিষ্ঠা করবে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু’র প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে খবর দ্য ওয়্যার জানায়, আইটিএলএফ’র সাধারণ সম্পাদক মুয়ান টম্বিং বলেছেন, টেংনুপাল, কাংপোকপি এবং চুরাচাঁদপুর জেলার কুকি-জো জনগণ স্ব-শাসনের আওতায় আসবে। এই সম্প্রদায়ের ‘মেইতি (জাতি) মণিপুর সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রত্যাশা নেই।’
প্রসঙ্গত, মণিপুরে গত ৩ মে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে জাতিগত বিভক্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে নিহত হয়েছেন শত শত মানুষ এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপর থেকে কুকি-জো বিধায়ক এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের জন্য একটি পৃথক অঞ্চলের জন্য মোদি সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছিল। তারা একাধিকবার বলেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এন বীরেন সিংয়ের অধীনে মেইতি-সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার তাদের আস্থা হারিয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে এবার রাজ্যটির তিনটি জেলায় স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা দেন আইটিএলএফ’র নেতারা।
সারাবাংলা/এনএস