আমেরিকায় শ্রমিকদের ইতিহাস আমরা ভুলিনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০ নভেম্বর ২০২৩ ০০:৪৪
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের ইতিহাস আমরা ভুলিনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমেরিকাকে এই অবস্থায় আসতে আড়াই শ বছর সময় লেগেছে। আমেরিকায় শ্রমিকরা একসময় দাস ছিল। বছরের পর বছর দাসপ্রথাকে প্রমোট করা হয়েছে। ১৮৬২ সালে দাস প্রথা বাদ পড়ে। এর আগ পর্যন্ত শ্রমিকদের উপর কী অত্যাচার! সে কারণে সেখানে গৃহযুদ্ধ হয়। দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে অভিনন্দন জানাই।
রোববার (১৯ নভেম্বর) স্কটল্যান্ড পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস-পার্টি গ্রুপের (সিপিজি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, যারা শ্রমিকদের অধিকার হরণ করবে, তাদের উপর স্যাংশন দেওয়া হবে— এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা স্যাংশনের দেশ, তারা দিতে পারেন। তারা বড় লোক, আমরা আমাদের মতো কাজ করব। আমাদের বাস্তবতার নিরিখে আমরা কাজ করব। আমরা তো এক দিনে আমেরিকা হতে পারব না। আমাদের ইচ্ছা যে উনাদের মতো হব এটা সত্যি, উনারা যাদের টাকাটুকা দিয়ে রাখেন তারা মনে করে এক দিনেই আমেরিকা হওয়া যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধি বিষয়ে স্কটিশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি আলাপ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, আরও শ্রমিক ইউনিয়ন বাড়াতে। তাদের দেশে ইউনিয়ন কমে যাচ্ছে, আর আমাদের দেশে বাড়াতে বলছে। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা একটি শর্ত দিয়েছি যে, ২০ শতাংশ কর্মী যদি ইউনিয়ন করতে রাজি হয় তাহলে মোস্ট ওয়েলকাম। বড় কোম্পানি করতে পারে, পার্সেন্ট কোনো ব্যাপার নয়। তবে আমরা একদিনে ইউরোপ-বা আমেরিকার মজুরি দিতে পারব না। আমাদের জন্য এটি সম্ভবও না। তবে একটি জিনিস আমরা চাই আপনাদের কাছ থেকে। আপনারা যে গার্মেন্টস পণ্য আমাদের কাছ থেকে কেনেন, তার দাম কেন বাড়ান না? আমরা অঙ্গীকার করছি, আপনারা যদি বেশি দাম দেন, এক ডলার এক্সট্রা দেন, সেই এক ডলার আমরা শ্রমিকদের দিয়ে দেব, ব্যবসায়ী নেবে না। দেখেন আপনারা পারবেন কি না। আমরা সস্তায় বিক্রি করি বলে আপনারা কেনেন।
স্কটিশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস-পার্টি গ্রুপ (সিপিজি) এর কনভেনার এবং স্কটল্যান্ডের সংস্কৃতি, ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী ফয়সল চৌধুরী। প্রতিনিধিদলটির অন্য দুই সদস্য হলেন, স্কটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ বিষয়ক ক্রস পার্টি গ্রুপের গ্রুপের ডেপুটি-কনভেনার মাইলস ব্রিগস এবং সদস্য এভলিন টুইড।
সারাবাংলা/আইই