লুনার স্যাটেলাইন: ওয়ালটনের রিসার্চ ল্যাব ব্যবহার করবে এটুআই
২১ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৫৩
ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি পিএলসির ওয়ালটন টেলিভিশনের ক্লিনরুম রিসার্চ ল্যাব ব্যবহার করবে অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। এ বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) আইসিটি টাওয়ারে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারক সই করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, চাঁদে এমন কিছু পদার্থ আছে যা পৃথিবীতে অপ্রতুল। চাঁদের হিলিয়াম-৩ আইসোটপ পৃথিবীর জন্য ক্লিন এনার্জির এক অন্যতম উৎস। তাই চাঁদ আমাদের ভবিষ্যত বাণিজ্যের ঠিকানা। এমন মিশনে এটুআইয়ের পাশে থেকে তাদের ক্লিনরুম রিসার্চ ল্যাব ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ওয়ালটন টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানাই।
ওয়ালটনের নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রকল্পটি সফল করতে ওয়ালটন টেলিভিশনের উৎপাদন কারখানায় সব ধরনের সরঞ্জাম আছে। ক্লিনরুম ল্যাব সহযোগিতার পাশাপাশি অন্য কারিগরি সহযোগিতাও দেওয়া হবে।
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, ওয়ালটন সদর দফতরে টিভি ম্যানুফ্যাচারিং প্ল্যান্টে আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিনরুম ছাড়াও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ সক্ষমতা, সর্বাধুনিক ল্যাব এবং টেস্টিং ফ্যাসেলিটিজ। এসবের মাধ্যমে অন্য যেকোনো সংস্থাকে আমরা এ সংক্রান্ত সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, ‘সাগর থেকে মহাকাশে এটুআই আছে মিশে। আমরা এই লুনার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নতুন ধাপে যাত্রা শুরু করলাম।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে এটুআই ইনোভেশন ফান্ডের প্রধান নাঈম আশরাফী, লুনার স্যাটেলাইট প্রকল্পের টিম লিডার ও প্রধান প্রকৌশলী জাহিদ হাসান শোভন, ওয়ালটন টিভির ডিপুটি চিফ বিজনেস অফিসার আবির আহমেদ, রিসার্চ ও ইনোভেশন প্রধান মিঠুন চক্রবর্তী এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদ হোসাইনসহ এটুআই ও ওয়ালটনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে নাসার গ্লি মিশনের জন্য এটুআই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ালটন টেলিভিশনের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফেমটো আকৃতির স্যাটেলাইট উন্নয়ন করতে চলেছে। নাসার কলেরেডো স্পেস গ্র্যান্ড কনসোর্টিয়াম একটি আন্তর্জাতিক গভীর মহাকাশ মিশন পরিচালনা করছে, যার নাম ‘দ্য গ্রেট লুনার এক্সপিডিশান ফর এভরিওয়ান’। আর্টেমিস চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব ওই মিশনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ২২টি দেশ ও পরে আরও আটটি দেশ সংযোজনের মাধ্যমে মোট ৩০টি দেশের ‘লুনার এলিট ক্লাব’-এ প্রবেশ করতে চলেছে বাংলাদেশ।
সারাবাংলা/টিআর
এটুআই ওয়ালটন টেলিভিশন লুনার স্যাটেলাইট সমঝোতা চুক্তি সমঝোতা স্মারক