Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আ.লীগে কোণঠাসা এনামুল, নতুন মুখের সন্ধানে বিএনপি

মাহী ইলাহি, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৯

রাজশাহী: পদ্মা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এক বিখ্যাত জেলার নাম রাজশাহী। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা। এর পরিচিতি রেশম দিয়ে। রাজশাহীকে বলা হয়ে থাকে সিল্কসিটি। এছাড়াও এই জেলা শিক্ষানগরী হিসেবে পরিচিত। তবে ইদানিং রাজশাহীকে আমের রাজধানীও বলা হয়ে থাকে। রাজা ও জমিদারদের কারণে এই জেলার নামকরণেও ছাপ রয়েছে। এখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলো বহন করে চলছে রাজা ও জামিদারদের ঐতিহ্য।

বিজ্ঞাপন

৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সবধরনের রাজনৈতিক আন্দোলনে যে জেলার অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে সেটি রাজশাহী। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামানের জন্মভূমি এই রাজশাহী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে এই জেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। রাজশাহী থেকে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, প্রয়াত সাঈদউদ্দিন আহমেদ, প্রয়াত আবুল হোসেন, মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, প্রয়াত মনোয়ারা রহমান ও আবদুর রাজ্জাক। এই জেলায় পাকবাহিনীর হাতে প্রথম শহিদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শামসুজ্জোহা। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই জেলার অনেক মানুষ শহিদ হয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মারা হতো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষদের। স্বাধীন দেশে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর জেলখানায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রাজশাহীর সন্তান জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহীকে এক সময় বলা হতো বিএনপির ঘাঁটি ও মৌলবাদীদের আস্তানা। তবে পিছিয়ে ছিল না প্রগতিশীল আন্দোলনও। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে ভূমিধস জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। মূলত তখনই রাজনীতি থেকে অবস্থান হারাতে শুরু করে বিএনপি। সে সময় রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকে পাঁচটিতে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। আর একটিতে জয় পায় ওয়ার্কার্স পার্টি। বর্তমানে রাজশাহীতে বিএনপি তার অবস্থান হারিয়েছে। এই সময়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে আওয়ামী লীগ। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনে বিশাল শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

রাজশাহীর ছয়টি আসন থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এই জেলার কয়েকটি আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যাও কম নয়। তারাও কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন অনেকে। এর আগে তারা মিছিল-মিটিং, শোডাউন, পথসভা উঠান বৈঠক করেছেন। এবারও জাতীয় পার্টি মহাজোটে থেকে নির্বাচন করছে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি রয়েছে আন্দোলনে। তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও দুয়েকটি আসন দখলে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের চিত্র।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা আলোচিত ও সমালোচিত একটি উপজেলার নাম। এই উপজেলা থেকে উত্থান হয়েছিল জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামক সংগঠনের। এছাড়াও এই উপজেলায় একসময় দাপিয়ে বেরিয়েছে চরমপন্থী সংগঠনের নেতারা। এই উপজেলার জনগণ চাইছে জনবান্ধব সংসদ সদস্য। যে সবসময় থাকবে সাধারণ মানুষের পাশে।

২০০৮ সালের এই আসনটিকে করা হয় রাজশাহী-৪। এর আগে মোহনপুর-বাগমারা উপজেলা নিয়ে ছিল গঠিত ছিল রাজশাহী-৩ আসন। রাজশাহীর সর্ববৃহৎ উপজেলা বাগমারায় রয়েছে দু’টি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়ন। ১৯৯১ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত রাখাল চন্দ্র দাস। ৯৬ সালে মনোনয়ন পান এক সময়ের বাম সংগঠনের নেতা ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন এবং ২০০১ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেছা তালুকদার। আর ২০০৮ সাল থেকে টানা তিন বার মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে আসছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী এনামুল হক।

এ আসনে ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত সরদার আমজাদ হোসেন। ১৯৯৬ সালে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপির প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত বিএনপি নেতা আবু হেনা। তিনি বিএনপির মনোনয়নে পর পর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জঙ্গি ইস্যু নিয়ে নিজ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দল থেকে বহিষ্কার হন তিনি। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েন আবু হেনা। সেখানে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল গফুর। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী এনামুল হকের কাছে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হকের বিরুদ্ধে আছে বিস্তর অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে অডিও-ভিডিও ফাঁসের মাধ্যমে তার কু-কীর্তির কথা উঠে আসে। এ নিয়ে রাজশাহীজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এছাড়াও এমপি এনামুলের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে জেএমবি নেতাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন উপজেলার নেতারা।

আওয়ামী লীগ থেকে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন প্রকৌশলী এনামুল হক। তিনি বাদেও দলের মনোনয়ন চেয়েছেন বাগমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এদের মধ্যে রাজনীতির মাঠে বেশি সক্রিয় আবুল কালাম আজাদ। নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ আর সভা-সমাবেশ করে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন কিনেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোটেক ইব্রাহীম হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পিএম শফিকুল ইসলাম ও ডা. আ ফ ম জহুরুল হক।

কয়েক বছর আগে থেকেই বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ তিনটি বলয়ে বিভক্ত। এক বলয়ে রয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, অপর দুই বলয়ে রয়েছেন অ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুরের মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবিতে জাকিরুল ইসলাম সান্টু, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন এবং ড. পিএম শফিকুল ইসলাম একই মঞ্চে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। তাদের দাবি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ছাড়া তাদের চারজনের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে একযোগে তারা কাজ করবেন।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বলিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে এনামুল হকের বিকল্প নেই। মাঠ পর্যায়ে রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। বিশেষ করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এলাকার হাজার হাজার গরিব-অসহায় মানুষকে নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে বাগমারার মানুষদের কাছে বড় একটি জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও নির্বাচনে এলাকায় তিনি সবচেয়ে বেশি সময় দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। ফলে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ ভোটারদের কাছে এমপি এনামুল এখন এ অঞ্চলে অনেক জনপ্রিয় নেতা বলেই পরিচিত।’

বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে এই এলাকার মানুষদের জীবন পরিবর্তন হয়েছে। এর আগে যারা সরকারে দায়িত্বে ছিল তারা জঙ্গিদের মদদ দিয়েছেন। বাগমারাবাসী দীর্ঘদিন নানা অত্যাচার সহ্য করে এখন সুখে আছে। এই আসনে যারা মনোনয়ন চাইবেন তাদের তালিকা করে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কে পাবেন মনোনয়ন। যিনি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য তাকেই দল থেকে দেওয়া হবে।’

একসময় এই আসনে বেশ আধিপত্য ছিল বিএনপির। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে দলের মনোনয়ন চাইবেন বিএনপির অন্তত ডজন খানেক নেতা। যাদের অনেকেই ইতোমধ্যে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। বিশেষ করে সমর্থন পেতে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করাসহ কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন তিন থেকে চার জন নেতা। তবে এবার নতুন মুখ ও স্থানীয় নেতাকে চায় দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি সিনিয়র সাইন্টিস্ট এবং দেওয়ান ফাঊন্ডেশন চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাগমারা উপজেলার সাবেক সভাপতি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বাগমারা উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কামাল হোসেন, রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম টুটুল।

এদের মধ্যে রাজনীতির মাঠে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সক্রিয় রয়েছেন ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া ও অধ্যাপক কামাল হোসেন। বিশেষ করে দলীয় সব কর্মসূচিতে তারা নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশ নেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এবার নির্বাচনে যাবে না বিএনপি উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোট হলে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন চাইব। বাগমারায় দলের অবস্থান ভালো। এখানে দলের বাইরে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার সুযোগ নেই। দল নির্বাচনে অংশ নিলে কেন্দ্রই প্রার্থী ঠিক করবে। ’

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি তাকে দেওয়া হবে দল থেকে মনোনয়ন। তবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি অংশ নেবে না।’

এই আসনে লড়বে জাতীয় পার্টিও। তাই দলীয় মনোনয়ন চাইতে মাঠে আছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু তালেব। আগেও তিনি একাধিকবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এর আগে পৌরসভা, উপজেলা ও সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন তিনি। আবু তালেব ছাড়াও এ আসন থেকে এবার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. আবু ইউসুব সেলিম।

উল্লেখ্য, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯৩ জন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন এনামুল হক। তিনি ওই সময় পান ১ লাখ ৭ হাজার ৭৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল গফুর পান ৮৩ হাজার ৬৩৩ ভোট। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের টিকিট পান এনামুল কবির। ওই নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ফের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এনামুল। ওই নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু হেনা ধানের শীষ নিয়ে পান ১৪ হাজার ১৫৭ ভোট।

সারাবাংলা/এমই/পিটিএম

অধ্যাপক আব্দুল গফুর অধ্যাপক কামাল হোসেন আবুল কালাম আজাদ এনামুল হক গোলাম সারওয়ার আবুল জাকিরুল ইসলাম সান্টু জিয়াউর রহমান জিয়া ডা. আ ফ ম জহুরুল হক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিএম শফিকুল ইসলাম বিএনপি নেতা আবু হেনা রাজশাহী-৪

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর