‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই’
২৩ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৩৯
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একদল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আবারও সম্প্রীতির বাংলাদেশকে অশান্ত করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বরেণ্য ব্যক্তিরা। তারা বলেছেন, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্প্রীতির বাংলাদেশে এমন সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে প্রত্যয় জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নাগরিক সমাবেশে বক্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, গারো, সাঁওতাল সবাই মিলে ৯ মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল। ১৯৭২ সালের সংবিধানের জাতীয় মূলনীতির অন্যতম ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বারবার আঘাতে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই সাম্প্রদায়িক শক্তি পরাজিত হয়েছে।
তারা বলেন, আবারও নির্বাচন সামনে রেখে হিংস্র শকুনের দল বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত হানতে চায়। এই অপশক্তিকে পরাজিত করতে জাতির পিতার আদর্শ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে নৌকাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তারা।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
সমাবেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহরিয়ার কবির, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল দত্তসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন
গৌরব ৭১, স্লোগান ৭১, জাগো বাংলা ফাউন্ডেশনসহ আরও ৫০টি সংগঠন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে।
সারাবাংলা/টিআর