Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুন্দরবনে কাল শুরু হচ্ছে রাস পূর্ণিমা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৫৩

বাগেরহাট: বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরের আলোরকোলে আগামীকাল শনিবার (২৫ নভেম্বর) শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান। রোববার সন্ধ্যায় রাস পূর্ণিমা পূজা ও সোমবার ভোরে দিনের প্রথম জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানিতে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান। তবে বিগত ২০০ বছর ধরে সুন্দরবনের আলোরকোলে সব ধর্মবর্ণের মানুষদের মিলন মেলা বা উৎসব এবার হবে না।

বিজ্ঞাপন

এবার রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পারবেন শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। সাগরপাড়ে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া-আসা নির্বিঘ্ন করতে পাঁচটি নৌরুট নির্ধারণ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন, পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এবং রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান আয়োজন কমিটির সবায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এবার এ সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া নাগরিকত্বের সনদপত্র দেখিয়ে সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাশ-পারমিট নিয়ে পাঁচটি নৌরু মোংলার ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন-ত্রিকোনা আইল্যান্ড হয়ে সুন্দরবনের আলোরকোল, শরণখোলার বগী-বলেশ্বর-সুপতি -কচিখালী- শেলারচর হয়ে আলোরকোল, সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক-বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল-হংসরাজ নদী হয়ে আলোরকোল, খুলনার কয়রা-কাশিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা-আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে আলোরকোল, নলিয়ান-শিবসা-মরজাত নদী হয়ে আলোরকোল যেতে পারবেন সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। একটি নৌযানে সবোর্চ্চ ৫০ জন পুণ্যার্থী যেতে পারবেন।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান যেতে পাঁচটি রুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান যেতে পরবেন। অতীতের মতো হবে না কোনো উৎসব বা মেলা। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে অংশ নেওয়া কেউ হরিণসহ কোনো প্রকার বন্যপ্রাণী শিকার, খাওয়া ও সংরক্ষণ এবং গাছপালা কাটতে পারবে না। রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আসা-যাওয়াসহ আলোরকোলে অবস্থনকালে পুণ্যার্থীরা সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টসহ নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

রাস পূর্ণিমা সুন্দরবন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর