ভাঙ্গা-লোহাগড়া রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শনে মন্ত্রী
২৪ নভেম্বর ২০২৩ ২২:৩৭
নড়াইল: ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন থেকে নড়াইল জেলার লোহাগড়া পর্যন্ত নবনির্মিত রেলপথ এবং নির্মাণাধীন রেলস্টেশনগুলো পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা স্টেশনে যাওয়ার সময় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) গ্যাংকার যোগে মন্ত্রী নির্মাণাধীন ভাঙ্গা, মুকসুদপুর ও লোহাগড়া রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য পরামর্শ দেন।
ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ এবং রেলস্টেশনগুলো আগামী বছরের জুনের মধ্যে কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের যে উন্নয়ন করেছে, তা জনগণ জানে এবং তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আছেন।’
পরিদর্শনকালে পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল হাসান, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামস, সিএসসির ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ এবং বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এস এম ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেইজের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাসের আগেই সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোর ৮৪ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্মান কাজ পরিদর্শন করে আমি খুব খুশি।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পটি দু’টি ফেইজে বিভক্ত। প্রথম ফেইজে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ফেইজে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ চলছে। দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালের প্রথম দিকে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ফেজের এ অংশের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল লাইনে থাকবে মোট ১০টি স্টেশন। এরমধ্যে নতুভাবে নির্মিত হচ্ছে ৭টি (নগরকান্দা, মহেষপুর, মকসুদপুর, লোহাগড়া, নড়াইল সদর, জামদিয়া ও পদ্মবিলা) স্টেশন। এছাড়া রয়েছে ৩১টি ব্রিজ, ৮৯টি কালভার্ট এবং ৮৪টি আন্ডারপাস, যার নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পথে। সেনাবাহিনীর ৩টি ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ তদারকি করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/একে