‘আবার ক্ষমতায় এলে সর্বশেষ আগুন সন্ত্রাসীকেও নির্মূল করব’
২৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৫২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে ‘আগুন সন্ত্রাসীদের’ নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা-সংলাপ হয় না। তাদের নির্মূল করতে হয়। সরকার আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৪ জুন বিএনপির মিছিল থেকে ভাংচুর করা এসব ম্যুরাল দৈনিক আজাদী ও ডায়মন্ড সিমেন্টের পৃষ্ঠপোষকতায় পুনঃস্থাপন করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১৪ জুন বিএনপি-জামায়াতের মিছিল থেকে এখানে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্রগুলো ভাংচুর করা হয়। তারা ভাংচুর করে শুধু ক্ষান্ত হয়নি, ভাংচুর করার সময় তারা উল্লাসও করেছে। অর্থাৎ, এগুলো ধ্বংস করে তারা উল্লসিত হয়েছে। আজ আবার সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে স্থাপন করা হয়েছে।’
বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাংচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, সর্বশেষ আগুন সন্ত্রাসীকেও আমরা এদেশ থেকে নির্মূল করব ইনশাল্লাহ। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরিফ পোড়ায়, গাড়ি-স্কুল পোড়ায়, ওরা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক কর্মসূচিও এগুলো নয়।’
তথ্যমন্ত্রী আগুন সন্ত্রাসে যুক্তদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশ-জাতি, সমাজ ও জনগণের শত্রু। এদের চিহ্নিত করে রাখতে হবে। ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কেউ আগুন সন্ত্রাস চালালে কিংবা কেউ চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে এরকম জানতে পারলেও তাদের ধরিয়ে দেবেন। তাহলে এদের নির্মূল করা সম্ভবপর হবে।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের আহ্বান নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। যারা এসব কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন, সন্ত্রাসীদের সাথে কি আলোচনা হয় ?’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কেউ মানছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুইদিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক।
সারাবাংলা/আরডি/আইই