Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পণ্যসহ কাভার্ডভ্যান চুরির চক্রে ব্যবসায়ীও, গ্রেফতার ৪

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৫ নভেম্বর ২০২৩ ২১:২৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীতে কারখানার সামনে থেকে পোশাকের কাঁচামালভর্তি কাভার্ডভ্যান লোপাট করে দেওয়ার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ব্যবসায়ীও আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরী ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় কাভার্ড ভ্যান এবং পোশাক কারখানার কাঁচামাল সিলিকন ফ্লুইড।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার চারজন হলেন- বাবুল মিয়া (৫৩), মামুন মিয়া (৩১), শেখ জাহাঙ্গীর কবির (৫২) এবং শামসুল আলম (৩৯)।

পুলিশ জানায়, এদের মধ্যে বাবুল ও মামুন চোর চক্রের সদস্য। শেখ জাহাঙ্গীর কবির একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বাড়ি যশোর হলেও তিনি নগরীর আকবর শাহ থানার মোস্তফা হাকিম বাগানবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে বেশ কয়েকটি গুদাম ভাড়া নিয়ে তিনি ব্যবসা করেন। শামসুল আলমের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায়। তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে পণ্য বিক্রির মধ্যস্থতা করেন।

গত ১৩ নভেম্বর বিকেলে নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা রোডে কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানার সামনে থেকে কাভার্ড ভ্যানটি চুরি হয়। ওই কাভার্ড ভ্যানে ৯ মেট্রিকটন সিলিকন ফ্লুইড ছিল। এ ঘটনায় কোটস বাংলাদেশের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুফল কুমার দাশ সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি করা সিলিকন ফ্লুইড নিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কারখানার সামনে আসে। সেটি ভেতরে নেওয়ার আগে চালক ও সহকারী নেমে নাস্তা করতে যায়। আধাঘণ্টা পর এসে দেখেন কাভার্ডভ্যানটি আর নেই।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ’১৫ নভেম্বর ফৌজদারহাট এলাকায় আমরা পরিত্যক্ত অবস্থায় কাভার্ডভ্যানটি পাই। এর আগে, আমরা ঘটনাস্থলের ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাইবাছাই করি। সেখানে দেখা যায়, একজন কাভার্ডভ্যানটি চালিয়ে দ্রুত চলে যাচ্ছেন। তাকে আমরা মামুন হিসেবে শনাক্ত করি। এর আশপাশে একটি পিকআপ কাভার্ডভ্যানটিকে পাহারা দিচ্ছিল। সেটির চালক বাবুলকেও আমরা শনাক্ত করি। এছাড়া সোহেল নামে একজন ঘটনাস্থল রেকির দায়িত্বে ছিল বলে আমরা তথ্য পাই। এরপর মূল অভিযান শুরু হয়।’

এসআই সুফল জানান, প্রথমে পিকআপ ভ্যানের নিবন্ধন নম্বর সংগ্রহ করে শুক্রবার রাতে এর চালক বাবুলকে নগরীর বায়েজিদ লিংক রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাবুলের তথ্যে নগরীর আকবর শাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকা থেকে গুদাম মালিক শেখ জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ঢাকার কেরাণীগঞ্জের পলাশপুর থেকে শামসুল আলমকে গ্রেফতার করে তার হেফাজত থেকে চুরি হওয়া সিলিকন ফ্লুইড উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ বাবুলের তথ্যে হালিশহরের বিহারী কবরস্থান এলাকা থেকে পিকআপ ও মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘বাবুল, মামুন ও সোহাগ কাভার্ডভ্যানটি চুরি করে শেখ জাহাঙ্গীর কবিরের ভাড়া নেওয়া গুদামে দিয়ে আসে। জাহাঙ্গীর একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হলেও তার সঙ্গে বন্দর ও পরিবহনকেন্দ্রিক পণ্য চোরচক্রের সদস্যদের যোগসাজশ আছে। পণ্যবাহী পরিবহন চুরির পর তার আশ্রয়ে থাকে। মধ্যস্থতাকারী ধরে চোরাই পণ্যও তিনি বিক্রি করেন। সিলিকন ফ্লুইডগুলো তিনি শামসুলের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন।’

এ ঘটনায় জড়িত পলাতক সোহাগকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই সুফল কুমার দাশ।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

কাভার্ডভ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর