পূণ্যস্নানে শেষ হলো রাস উৎসব
২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২:৩৫
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গঙ্গাস্নান ও রাস উৎসব।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভোর থেকে হাজার পূণ্যার্থীদের সমুদ্রস্নানের মাধ্যমে এ ধর্মীয় আচার সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ভগবানকে আমন্ত্রণ, মঙ্গলঘট স্থাপন ও সন্ধ্যা আরতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাসলীলার ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। পরে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতভর চলে ভগবাত পাঠ, সংগীতানুষ্ঠান ও মহানাম কীর্তন।
রাসলীলা উদ্যাপনে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে রোববার বিকেল থেকেই ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার হাজারও মানুষ ভিড় জমায়। রাস উৎসব উপলক্ষে মেলায় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে বলে ধারণা আয়োজক কমিটির। তবে অবরোধের কারণে লোক সমাগম কম হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা।
এদিকে কুয়াকাটা পৌরসভা ও পূজা উদ্যাপন কমিটি আলাদাভাবে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করে। এসব আয়োজনে সারারাত আনন্দ-উল্লাসে মেতেছিল হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতা।
মেলা ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও দুই সহস্রাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকানে খেলনাসহ নানা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকা। আগত দর্শনার্থীদের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। সোমবার ভোরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এই উৎসবের।
এর আগে রোববার রাত ৮টায় প্রধান অতিথি হিসেবে রাস পূজা ও মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম। কুয়াকাটা সৈকতে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কলাপাড়া সার্কেল) বিমল কৃষ্ণ, কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম প্রমুখ।
সারাবাংলা/টিআর
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত গঙ্গাস্নান পূণ্যস্নান রাস উৎসব রাস পূর্ণিমা সমুদ্রস্নান