রওশন মাইনাস
২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৫
ঢাকা: রাজনীতির খেলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কাছে হেরে গেলেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ! দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন থেকে হলেন মাইনাস। এবার জাতীয় পার্টির পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক পদটিও হারাতে পারেন তিনি।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ঘোষিত জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, তার ছেলে রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, দলের সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজুসহ পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার।
বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের আসন খালি রাখা হলেও সাদ এরশাদসহ অন্যদের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। সাদের আসনে জি এম কাদের নিজেই মনোনয়ন ফরম তুলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েও পাননি রওশন এরশাদ। এতে তিনি আরও হতাশ হয়ে পড়েন। এরপরই বেগম রওশন এরশাদ গতকাল সোমবার রাতে তার গ্রুপের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। নির্বাচনের পরিবেশ নেই।
সূত্র জানায়, জি এম কাদেরের কাছে বেগম রওশন এরশাদ আসন চেয়েছিলেন ১৩টি। এতে জি এম কাদের রাজি হননি। তিনি বেগম রওশন এরশাদকে আসন দিতে রাজি হয়েছিলেন তিনটি। গতকাল সোমবার জাপা প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর বেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদসহ অন্যদের নাম না পেয়ে আরও হতাশ হন। এরপরই তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের জানিয়ে দেন নির্বাচন বর্জনের কথা।
স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোন জোটে গিয়ে নৌকা বা অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করারও সুযোগ নেই তার।
বেগম রওশন এরশাদ গ্রুপের নেতা গোলাম মসিহ বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন বর্জন করেছেন। এক কথায় নির্বাচন থেকে তাকে মাইনাস করা হয়েছে। সাদ এরশাদের আসনে জি এম কাদের নিজেই মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি ওখান থেকে নির্বাচন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অর্থাৎ ম্যাডাম রওশন এরশাদ দলটিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। এবার জি এম কাদের নিজেই দলটি ভাঙনের সৃষ্টির পথ করে দিলেন।’
বেগম রওশন এরশাদ স্বতন্ত্র কিংবা অন্য কোনো জোটে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসিহ বলেন, ‘সে সুযোগ নেই। কারণ হাতে সময় আছে একদিন।’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে জাপার এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছিল, তিনি সময় দেননি। একবছর আগে আমরা দলের কাউন্সিল করে জাপার রাজনীতি শুরু করতে চেয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী তখন আমাদের বলেছিলেন, দল ভাঙবেন কেন? জি এম কাদেরের সঙ্গে আপনাদের মীমাংসা করে দিচ্ছি। কিন্তু তা আর হয়নি। এখন আমরা নতুন করে চিন্তাভাবনা করবো। নির্বাচনের পরে আমাদের নেতৃত্বে নতুন জাতীয় পার্টি সৃষ্টি হতে পারে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও