Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটের পর কাজ শুরু, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে ২ বছর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৮

ঢাকা: আমিনবাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে এখনও দুই বছর সময় লাগবে। আগামী বছর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট তৈরির অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হবে। আর পূর্ণ উদ্যমে উৎপাদনে যেতে লাগবে আরও দুই বছর। তবে আগামী বছর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অন্তত একটি টারাবাইন চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সাভারের আমিনবাজার ভাগাড়ে চলমান ডিএনসিসি’র ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আমিনবাজার ভাগাড়ে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় এই প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে উত্তর সিটি। আর উৎপাদনের কাজ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিএমইসি। এখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসেনারেশন প্লান্ট স্থাপনের জন্য ৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এই প্ল্যান্টে প্রতিদিন তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা দিয়ে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন আটাশশ থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে।

বর্জ্য সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধানে এগিয়ে আসায় চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এই প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের জটিলতা শেষে চীনের কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কিছু কিছু কাজও শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনের পর পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু হবে। আর উৎপাদনে যেতে লাগবে আরও অন্তত দুই বছর। তবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে চারটি টারবাইনের অন্তত একটি চালু হবে। প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে ২৫ বছরের জন্য।

বিজ্ঞাপন

আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবকাঠামো নির্মণের কাজ এত দেরিতে শুরুর কারণ জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘এখানে ভূমি অধিগ্রহণই ছিল প্রধান চ্যালেঞ্জ। জমির মালিকদের তিনগুণ বেশি টাকা দিতে হয়েছে।’

বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াও এখানে অন্যান্য যেসব কাজ হবে তার বিস্তারিত তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘এখানে মোট ৮০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট ছাড়া বাকি পঞ্চাশ একরে মেডিক্যাল বর্জ্য, ই-বর্জ্য ও বিল্ডিংয় ভাঙা বর্জ্য (Debris) ব্যবস্থাপনার জন্য পরিবেশবান্ধব ল্যান্ডফিল স্থাপন।’

প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য দিতে না পারলে কী হবে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ বর্জ্য না দিতে পারলে ডিএনসিসি চীনা প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মেট্রিক টনে এক হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে। আর চীনা প্রতিষ্ঠান যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখে তাহলে তারা মেগাওয়াটপ্রতি ১০০০ ডলার জরিমানা দেবে।’

প্রকল্প পরিদর্শন শেষে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময় পাশে আছে চীন। পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি টানেল সহ বেশিকিছু মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তার দেশ। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চীন গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্টটি চীনের প্রচেষ্টার অংশ। এটি মেগা প্রজেক্ট নয়, তবে ঢাকার নাগরিকদের জীবনমান পরিবর্তনে এটি সাহায্য করবে।

২০২০ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১ হাজার ২৭২ কোটি ৪ লাখ টাকা। এতে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এতে অবকাঠামো নির্মাণে ডিএনসিসির নিজস্ব অর্থায়ন ২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে। তবে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট নির্মাণে চীনা সরকারের কত টাকা বিনিয়োগ তা জানা যায়নি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

আমিনবাজার টপ নিউজ বিদ্যুৎ উৎপাদন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

পাকিস্তানে শাকিব খানের ছবি
২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৮

সালমান খানের আফসোস
২০ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৩

সম্পর্কিত খবর