থামল ২৪ দিনের লড়াই, পরী চাকমাও না ফেরার দেশে
২৮ নভেম্বর ২০২৩ ২০:২৯
রাঙ্গামাটি: সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন পরী চাকমা (৪২)। হারিয়েছিলেন বাম পা। সে অবস্থাতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন হাসপাতালে। পরী চাকমার ২৪ দিনের সেই লড়াইয়ের অবসান ঘটেছে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পরী।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পরী চাকমার। গত ৪ নভেম্বরের এই দুর্ঘটনার সময়ই নিহত হয়েছিলেন দুজন। সব মিলিয়ে দুর্ঘটনাটি কেড়ে নিল তিনটি প্রাণ।
পরী চাকমার দেবর মুনিক্কো চাকমা বলেন, ‘দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরী চাকমা মারা গেছেন।’ চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আরিফও মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদী বাজারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী বাস। বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন চালকসহ চারজন।
দুর্ঘটনার পর অটোরিকশার দুই যাত্রীকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক গুরিমিলে চাকমা (৫০) এবং পরী চাকমা (৪৮) নামে আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অটোরিকশার চালককে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও গুরুতর আহত তিনজনকে নেওয়া হয় চমেক হাসপাতালে। সেখানে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন পরী চাকমা।
ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন চালক পিন্টু চাকমা (২২), যাত্রী রিপন চাকমা (৪০) ও রিকন চাকমা (২৬)। হতাহতরা সবাই রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার এলাকার বাসিন্দা।
এদিকে ঘটনার পরদিন ৫ নভেম্বর নিহত গুরিমিলে চাকমার ভাই রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানায় মামলা করলে ৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে ঘাতক বাসচালক নুরুল আবছারকে গ্রেফতার করে রাঙ্গামাটি পুলিশ। সেই মামলায় আবছার এখন কারাগারে রয়েছেন।
সারাবাংলা/টিআর