Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নেই: বাণিজ্য সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:৪২

ঢাকা: শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন, শ্রম অধিকার ও শ্রমিকদের মানসম্মত জীবন যাপন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রেন্সিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম সই করেছেন। এতে বাংলাদেশের ওপরে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের জন্যই না, বিশ্বের শ্রমঘন সকল দেশের জন্য বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। কারণ, বাংলাদেশ দিনকে দিন শ্রম আইন সংশোধনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং শ্রম পরিবেশ উন্নত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্য সচিব বলেন, গত ২২ নভেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ( বাণিজ্য) মো. সেলিম রেজার লেখা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, যদিও স্মারকটি একটি বৈশ্বিক নীতি, যা সব দেশের ওপর আরোপিত হতে পারে, তারপরেও এটা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, বাংলাদেশ এই নীতির লক্ষবস্তু হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, এই ঘোষণা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বৈশ্বিক। এটা অনেক দেশের জন্য। আমরা এ ইস্যুতে কাজ করছি। ১৫ নভেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মিটিং করেছি। টিকফার বৈঠকেও বাংলাদেশের শ্রম আইন ও শ্রম পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেছি। এ পর্যন্ত চারবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। আইএলও এর সঙ্গে বসে এসওপি করা হয়েছে।

মার্কিন সরকারের এ ঘোষণা বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত আগেও হয়েছে। শ্রম অধিকার নিয়ে বাইডেনের সমঝোতা স্বারকের সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং আমেরিকার নির্বাচন সম্পৃক্ত। নিজ দেশের নাগরিকদের ভোট পেতে তিনি এই কৌশল অবলম্বন করেছেন। এটা গতানুগতিক ঘোষণা, তারা দেখতে চায় কোন দেশের শ্রম পরিস্থিতি কেমন আছে। নির্বাচন তো শুধু আমাদের দেশে। অন্য কোনো দেশে তো নির্বাচন নেই।

এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চাপে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমাদের কোনো চাপ নেই। কারণ, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশে এখন এমন কোনো পরিস্থিতিও আছে বলে মনে করি না। তাছাড়া আমেরিকাতে আমাদের বাণিজ্য কম। পোশাক রপ্তানির মোট ১৭ ভাগ আমেরিকাতে, ৫৭ ভাগ ইউরোপ, কানাডাতে। বাকি অন্যান্য দেশে রপ্তানি হয়। তাছাড়া আমেরিকা বাড়তি কোনো সুবিধা বাংলাদেশকে দিচ্ছে না।

শিল্প মালিকদের অর্ডার বাতিল সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি আদেশ কমার কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক। কানাডা-ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, তাই রপ্তানি কমেছে। যদিও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বাজার আমেরিকা। সেখানে আমাদের ডিউটি দিয়েই রপ্তানি করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ডব্লিউটিওর আইনে রয়েছে, বিনা কারণে কেউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না। আমি মনে করি না বর্তমানে এমন কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে রয়েছে। তারপরেও যদিও করে, তাহলে ডব্লিউটিএতে কথা বলব। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করা হবে।

কোনো দেশ অগ্রাধিকার সুবিধা তুলে নিতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে কোনো কোনো দেশে হয়েছে। সেসব দেশে ফোর্স লেবার হয়েছিল। বাংলাদেশে সে পরিস্থিতি নেই। কারণ বাংলাদেশ শ্রম আইনসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/আইই

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর