‘গার্মেন্টস শিল্প, রফতানি খাত নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে’
৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:২৪ | আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩
ঢাকা: বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে রফতানি খাত নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
জোনায়েক সাকি বলেন, ‘ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্য মিনিস্টার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন- আমেরিকার নতুন শ্রমিক অধিকার বিষয়ক নীতিমালাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এই নীতিমালা আওতায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে আমাদের রফতানি খাত নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে, বিপর্যস্ত করবে। দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। কারণ, আমরা একতরফা নির্বাচন করলে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ব। সুতরাং শুধু নির্বাচন বয়কট নয়, গণ প্রতিরোধের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আদায় করতে হবে।’
সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমিক এই রফতানি খাত গড়ে তুলেছে। উদ্যোক্তারা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শিল্প গড়ে তুলেছে। আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের সব মানুষের পেটে লাথি মারার চিন্তা করছে। বাংলাদেশের বাজারকে হুমকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং আগামী নির্বাচন শুধু শেখ হাসিনার ক্ষমতার নবায়ন নয়, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার লাইসেন্স।’
দেশের মানুষকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে তারা বোকা ভাবে, বিদেশিদেরকেও বোকা ভাবতে শুরু করেছে। তারা ভেবেছে- এভাবে সবার চোখে ধুলো দেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সকল মানুষ জানে, এমনকি যারা আওয়ামী লীগ করে তারাও জানে যে এই সরকার দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বাংলাদেশের মানুষকে রাজপথে নামতে হবে। ওই যে গুন্ডা- পান্ডা কয়েকটা আছে তাদেরকে ধাওয়া দিতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজপথের সব বিরোধী দল এই নির্বাচনকে প্রত্যাখান করছে, বর্জন করেছে। জনগণ এই সাজানো নির্বাচনকে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে দিয়ে চেষ্টা করেছে বিভিন্ন লোককে নির্বাচনে যুক্ত করার জন্য। কিন্তু রাজনৈতিক দল এবং জনগণ সরকারের সাজানো ফাঁদে পা দেয়নি। এটা সরকারের বড় রাজনৈতিক পরাজয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বুঝতে পেরেছে ১৪ বা ১৮ সালের মতো আরেকটা সাজানো নির্বাচন করে শেষ রক্ষা হবে না। নৌকা নাকি ডুবতে শুরু করেছে, তলা নাকি ফুটো হয়ে গেছে। নৌকায় যখন পানি ওঠা শুরু করে, তখন কোনো সচেতন মানুষ ডুবন্ত নৌকায় ওঠে না।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ