Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেষ দিনে ১২ জেলায় ৫ শতাধিক মনোনয়নপত্র জমা

সারাবাংলা ডেস্ক
৩০ নভেম্বর ২০২৩ ২২:২০

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন সারা দেশে বিভিন্ন দলের কয়েকশ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে কোনো কোনো প্রার্থী নিজে এবং কারও পক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

নোয়াখালী: মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে নোয়াখালী জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত ছয় প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও জেলার স্ব স্ব উপজেলায় উপজেলা রির্টানিং অফিসারের দফতরে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

সংসদীয় ছয়টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বিকল্প ধারা, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, গণফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ ৫৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি আংশিক) এ আসনে মোট প্রার্থী ১১জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২জন। এছাড়া জাসদ, গণফ্রন্ট, তরিকত ফেডারেশন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস এছাড়া স্বতন্ত্র ১ জনসহ ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী -২ (সেনবাগ- সোনাইমুড়ি আংশিক) এ আসনে মোট প্রার্থী ১৩ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলম। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৪জন ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাসদ, বিএনএফ, কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, জাকের পার্টি সহ স্বতন্ত্র ২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

নোয়াখালী- ৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ১১জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৩ জন। জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, জাকের পার্টি, জাসদ, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট ও ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে ৯জন মনোনয়নপপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এক জন। এ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী আবদুল মান্নান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, জাসদ, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালী-৫ (কোম্পানিগঞ্জ-কবিরহাট) এ আসনে মোট প্রার্থী ৫জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের পার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়। তবে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী বা স্বতন্ত্র পার্থী নেই। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাসদ, ইসলামিক ফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে মোট প্রার্থী ৬ জন। এ আসনে আওয়ামী লীর্গে মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আয়শা ফেরদৌস এমপিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও এনপিপির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ৬ টি আসনে ১৬টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে মোট ৫৫টি মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া:

মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম ও স্বতন্ত্রসহ বিভিন্ন দলের ৮৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ১২জন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ১০, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে ১৬ জন, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ১০, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) ৮জন, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ৮জন এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে ২৫জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

নওগাঁ: 

জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের জন্য ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

নওগাঁ-১ ( সাপাহার-পোরশা-নিয়ামতপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, জাতীয় পার্টির মোঃ আকবর আলী, জাকের পার্টির মোহাম্মদ আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতা , মো. মাজেদ আলী ও সোহরাব হোসেন।

নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত এ্যাড.শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, জাতীয় পার্টির মো. তেফাজ্জল হোসেন, জাকেরপার্টির এস জে এম আর ফারুক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আখতারুল আলম, মেজবাহুল আলম, আজিজার রহমান, আমিনুল হক, আইয়ুব হোসেন ও কাজল চন্দ্র দাস।

নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ রানা, এনপিপি’র স্বপন কুমার দাস, বিএনএফ-এর জাবেদ আলী, জাকের পার্টির আলাল হোসেন, তৃনমুল বিএনপি’র সোহেল কবির চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিএম মাহবুবুল মান্নাফ, ছলিমুদ্দিন তরফদার, মাহফুজা আকরাম চৌধুর, শামিমুর রহমান এবং ফিরোজ হোসেন।

নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. নাহিদ মোরশেদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আলতাফ হোসেন, জাকের পার্টির মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর আব্দুর রহমান এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মোঃ আব্দুস সামাদ, কামাল পারভেজ, আফজাল হোসেন, মোঃ জিয়াউল হক, ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক ও এস এম ব্রহানী সুলতান মাহমুদ।

নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম বকুল, এনপিপি’র খন্দকার আমিনুর রহমান ফ্রবেল, জাকের পার্টির মশিউর রহমান, জাসদ আজাদ হোসেন মুরাদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিশান ও মো আব্দুল মালেক।

নওগাঁ-৬ (রানীনগর-আত্রাই) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু বেলাল হোসেন জুয়েল, এনপিপির খন্দকার ইন্তেখাব আলম, তৃনমূল বিএনপি পিকে আব্দুর রব, বাংলাদেশ কংগ্রেস আব্দুস সাত্তার, জাকের পার্টির রবি রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নওশের আলী, ওমর ফারুক, শাহজালাল উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, এম এ রতন ও নাহিদ ইসলাম।

রাজশাহী:

রাজশাহীর ৬টি আসনে ৫৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এদিনই জমা দেন ৫৫ জন। মনোনয়ন উত্তোলন করেছিলেন ৬৬ জন। আটজন মনোনয়ন জমা দেননি।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম আহম্মেদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, জেলায় মোট ৫৮টি মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৬জন রয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র রয়েছেন সবচেয়ে বেশি। বাকিগুলো বিভিন্ন দলের ও স্বতন্ত্র।

রাজশাহী ১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে ১১টি জমা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন-আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আখতারুজ্জামান, শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার ডালিয়া ও বিএনএমের তানোর উপজেলা সভাপতি শামসুজ্জোহা বাবু, চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা, বশির আহমেদ, আল-সাআদ ও শামসুদ্দিন। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।

রাজশাহী-২(সদর) আসনে মনোনয়ন ১৩ জন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদ) সাহাবুদ্দিন বাচ্চু, বিএনএমের ফায়সাল মাহমুদ, স্বতন্ত্র আবু রায়হান মাসুদ, জাসদের আবদুল্লাহ আল মাসুদ, তৃণমুল বিএনপির শামীম হোসেন এবং গণফ্রন্টের মনিরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগ কর্মী রেজাউন নবী আল মামুন, আশরাফুল আলম ফাহিম, কামরুল হাসান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ১১ জন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ, বিএনএমের একেএম মতিউর রহমান, স্বতন্ত্র শামসুল আলম, জাতীয় পার্টির সাহাবুদ্দিন বাচ্চু, বর্তমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আয়েন উদ্দিন ও আব্দুস সালাম খান। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

রাজশাহী-৪(বাগমারা) মোট ৭ জন জমা দিয়েছেন। তাদের বর্তমান এমপি এনামুল হক, তার স্ত্রী তহুরা হক, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র আবু তালেব প্রামাণিক ও বিএনএমের বাবুল হোসেন। বাকি দুজনের নাম জানাতে পারেনি রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) থেকে ৭ জন জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন স্বতন্ত্র বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুনসুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আহসানুল হক মাসুদ ও ওবায়দুর রহমান, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হলেন সাবেক এমপি কাজী আব্দুল ওয়াদুদ, জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন এবং বিএনএমের শফিকুল ইসলাম স্বতন্ত্র শাহিনুল হক।

রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন থেকে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বর্তমান এমপি শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রায়হানুল হক, জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন রিন্টু, জাকের পার্টির রিপন আলী, বিএনএমের আব্দুস সামাদ ও স্বতন্ত্র ইকবাল হোসেন ও ইশরাফিল বিশ্বাস এবং খায়রুল ইসলাম। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।

জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনে মোট ৩৬৭ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কাস পার্টি, জাকের পার্টিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৩৭ জন প্রার্থী।

এদের মধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১২ জন। সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১১ জন। সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ছয়জন এবং সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন আটজন।

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী ১ আসনে এবং সবচেয়ে কম মনোনয়ন জমা পড়েছে সাতক্ষীরা ৩ আসনে।

সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম মুজিবুর রহমান, জাসদের জেলা সভাপতি শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, মুক্তি জোটের শেখ আলমগীর, তৃণমূল বিএনপির সুমি ইসলাম, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দীদার বখত, ওয়ার্কার্স পাটি মনোনীত অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-এমপি, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সাতক্ষীরা-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি-এমপি, জাতীয় পার্টি মনোনীত আশরাফুজ্জামান আশু, জাকের পার্টির শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফসার আলী, কেন্দ্রীয় যুবমেত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান, বিএনএমর কামরুজ্জামান বুলু, তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী, মুক্তিজোটের আব্দুল আজিজ, স্বতন্ত্র ইনছান বাহার বুলবুল, আনোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সাতক্ষীরা-৩ নির্বাচনি এলাকায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ. ফ ম রুহুল হক-এমপি, তৃণমূল বিএনপির রুবেল হোসেন, সাম্যবাদী দলের শেখ তরিকুল ইসলাম, এনপিপির আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির মঞ্জুর হোসেন, জাতীয় পার্টির আলিপ হোসেন।

সাতক্ষীরা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী আতাউল হক দোলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত এইচএম গোলাম রেজা, স্বতন্ত্র মাসুদা খানম মেধা, তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র মিজানুর রহমান, এনপিপির শেখ ইকরামুল এবং জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

কক্সবাজার:

মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন কক্সবাজারের চারটি আসনে ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। প্রার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ২৪ জন। অপরদিকে ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও সেখানে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর এবং টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশরসহ পাঁচজন নেতা রয়েছেন।

কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রাপ্ত তালিকায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কক্সবাজার জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানিয়েছেন, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ৩৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। মনোনয়ন পত্র দাখিলকারীদের মধ্যে কক্সবাজার ১ আসনে ১৩ জন, ২ আসনে ৭ জন, ৩ আসনে ৬ জন এবং ৪ আসনে ৯ জন প্রার্থী রয়েছে।

কক্সবাজার-১ :

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ১৩ জনের মধ্যে দলীয় মনোনীত প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন ৭ জন। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সালাহ উদ্দীন আহমদ সিআইপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, জাতীয় পার্টির (জেপি) এ. এইচ. সালাউদ্দীন মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ওয়ার্কার্স পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম, জাতীয় পার্টির হোসনে আরা।

অপর ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের নেতা। এরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, এমপি জাফরের পুত্র তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ। স্বতন্ত্র ৩ প্রার্থী হলেন, শফিকুল ইসলাম, কমর উদ্দীন ও শাহ নেওয়াজ চৌধুরী।

কক্সবাজার-২ :

কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ৭ জনই দলীয় মনোনীত মনোনীত প্রার্থী। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির মাহাবুবুল আলম, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মোঃ ইউনুস, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএসপির মোহাম্মদ খাইরুল আমিন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমএর প্রার্থী সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফ বাদশা।

কক্সবাজার-৩ :

সদর, ঈদগাও ও রামু আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ৬ জনের মধ্যে দলীয় মনোনীত প্রার্থী পাঁচজন। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শামীম আহসান, বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এআসনটি একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী মো, আবদুল মজিদ।

কক্সবাজার-৪ :

উখিয়া-টেকনাফ আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিলকারি ৯ জনের মধ্যে দলীয় মনোনীত প্রার্থী ৫ জন। যেখানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার , ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির ফরিদ আলম, জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো, তৃনমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব, ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগেসের মো, ইসমাইল।

এই আসনে তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে দুই জন আওয়ামীলীগের। এরা হলেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও মো. ইসহাক। সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে পিতা দাবি করে আদালতে দায়ের করা মামলার বাদি হলেন মো: ইসহাক। আসনটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার সাবেক সংসদ সদস্য বদির স্ত্রী।

যশোর:

জেলার ছয়টি আসনে স্বতন্ত্র ১৬ জনসহ মোট ৪৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

যশোর-১ (শার্শা-বেনাপোল) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ছাড়াও স্বতন্ত্র রয়েছেন মো. আশরাফুল আলম, মো. সোহরাব হোসেন ও মো. নাজমুল হাসান। তাছাড়া রয়েছেন জাকের পার্টির মো.সবুর খান ও জাতীয় পার্টির মো. আক্তারুজ্জামান।

এরমধ্যে বেনোপোলের সাবেক মেয়র ও জেলা অঅওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. নাজমুল হাসান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাতজন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী মো. তৌহিদুজ্জামান ছাড়াও স্বতন্ত্র রয়েছেন মো. মনিরুল ইসলাম, এস, এম হাবিবুর রহমান। তাছাড়া জাকের পার্টির মো.সাফারুজ্জামান, জাতীয় পার্টির মো. ফিরোজ শাহ, বিএনএফের মো. শামছুল হক ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আব্দুল আওয়াল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

স্বতন্ত্র জমাদানকারীদের মধ্যে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের জেলা যুগ্ম সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম এবং চৌগাছার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস, এম হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর-৩ (সদর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও স্বতন্ত্র রয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম মিলন ও মোহিত কুমার নাথ। তাছাড়া, বিকল্পধারার মো. হাসান কাজল, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. তৌহিদুজ্জান, জাকের পার্টির মো.মহিবুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. মাহবুব আলম, বিএনএফের শেখ নুরুজ্জামান, তৃণমূল বিএনপির মো. কামরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির অ্যাড. সুমন কুমার রায় ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আব্দুল আওয়াল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম মিলন ও আওয়ামী লীগের সদর উপজেলা সভাপতি মোহিত কুমার নাথ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আটজন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সাবেক সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী, তৃণমূল বিএনপির অব. লে. ক. এম শাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের(বিএনএফ) সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামি ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হক। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সাবেক সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে মনোনয়ন পত্রজমা দিয়েছেন নয়জন। এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী, কামরুল হাসান বারী, হুমায়ুন সুলতান ও আমজাদ হোসেন লাভলু, এবং তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামি ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী, জাকের পার্টির মো. হাবিবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির এমএ হালিম। এরমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বারী, সাবেক এমপি খান টিপুসুলতানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন সুলতান ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন লাভলু দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার ছাড়াও রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, আজিজুল ইসলাম ও এইচ,এম আমির হোসেন। তাছাড়া জাতীয় পার্টির জিএম হাসান, জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান জমা দিয়েছেন। তবে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এইচ,এম আমির হোসেন এবং জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের শিডিউল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিন ছিল। প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্ব- স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করেছি।

সুনামগঞ্জ:

সুনামগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৪১ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন।

সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. রনজিত চন্দ্র সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম আহমদ, জাতীয় পার্টির আব্দুল মান্নান, গণফ্রন্ট থেকে মো. জাহানুর রশীদ ও সুপ্রীম পার্টির হারিছ মিয়া, বিকল্প ধারার ডা. রফিক চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ, তৃণমূল বিএনপির আশরাফ আলী।

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল আমিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি ড. জয়া সেনগুপ্তা, সাবেক যুগ্ম সচিব মো. মিজানুর রহমান, যুক্তরাজ্য শ্রমিক লীগের সভাপতি ড. মো. সামসুল হক চৌধুরী, ঋতেশ রঞ্জন দেব, গণতন্ত্রী পার্টির মিহির রঞ্জন দাস।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, তৃণমূল বিএনপির সাবেক এমপি অ্যাড. শাহীনুর পাশা ছৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহফুজুর রহমান খালেদ, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী, তালুকদার মো. মকবুল হোসেন ও জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম।

সুনামগঞ্জ -৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কবি ড. মোহাম্মদ সাদিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন, জাসদের আবু তাহের মো. রুহুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ দিলোয়ার, বিএনএমের প্রার্থী দেওয়ান শামসুল আবেদীন ও বিএসপির আবুল ফজল মো. মাসউদ।

সুনামগঞ্জ- ৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসনে মনোনয়ন ফরম দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি মহিবুর রহমান মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আশরাফ হোসেন, জাকের পার্টির শেখ ইয়াবকুব আলী, গণফোরামের আইয়ুব করম আলী দু’টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবু সালেহ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আজিজুল হক, জাতীয় পার্টির অ্যাড. মো. নাজমুল হুদা হিমেল, মনির উদ্দিন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট সাচ্চু বিশ্বাস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল।

সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনে ৪২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা:

জেলার দুটি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন এড. ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, জাকের পার্টির মোহাম্মদ সালাম উদ্দিন, তৃনমুল বিএনপির মো.তাইজাল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোসাম্মৎ আফরোজা পারভীন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এমএ রাজ্জাক খান, এম সহিদুর রহমান, শেখ সামসুল আবেদীন।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলী আজগর, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, জাসদ (ইনু) দেওয়ান মো.ইয়াছিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ, মো.নুর হাকিম, মো.আবু হাশেম রেজা, আব্দুল মালেক মোল্লা, নজরুল মল্লিক মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

বাগেরহাট:

বাগেরহাটের ৪টি সংসদীয় আসনে চারজন স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন দলের ২৬ জনসহ ৩০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দপ্তরে এসব মনোনয়ন ফরম জমা দেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ আসনে আটজন, ২ আসনে ছয় জন, ৩ আসনে আটজন এবং ৪ আসনে আটজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে আওয়ামী লীগের এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি, জাকের পার্টির বাদল রেজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মুহাম্মদ লোকমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর রেজাউল ইসলাম রাজু, তৃণমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে আওয়ামী লীগের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, জাতীয় পার্টির মোঃ মনিরুজ্জামান মনি, জাসদের শেখ নুরুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএমম)-এর সুব্রত মন্ডল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী, তৃনমূল বিএনপির মিঃ ম্যানুয়েল সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার ও শেখ নিজাম উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বাগেরহাট-২ (কচুয়া-বাগেরহাট সদর) আসনে আওয়ামী লীগের শেখ তন্ময় এমপি, জাতীয় পার্টির হাজরা সহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির খান আরিফুর রহমান, তৃনমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর সোলায়মান শিকদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, জাতীয় পার্টির মোঃ কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির শেখ গোলাম ফারুক চান, তৃনমূল বিএনপির মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম)-এর মোঃ মঞ্জুর হোসেন শিকদার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ, বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর আতাউর রহমান আতিকী এবং কাজী রবিউল মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন বলেন, ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে রয়েছি। এলাকায় জনসমর্থন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বতন্ত্র হিসেবে ঘোষনা দেওয়ায় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি। ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।

বাগেরহাট-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোটাররা স্বতস্ফুর্তভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ভোট দিবেন। বাগেরহাটের চারটি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।

ভোলা:

ভোলার চারটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২০ প্রার্থী। এর মধ্যে ভোলা-১ আসনে চারজন, ভোলা-২ আসনে ছয়জন, ভোলা-৩ আসনে পাঁচজন ও ভোলা-৪ আসনে পাঁচজন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এ মনোনয়পত্র জমা দেন।

ভোলা-১ (সদর) আসনে মনোনয়পত্র জমা দেন ৪ জন। আওয়ামী লীগ থেকে এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, জাসদ (ইনু) থেকে মো. ছিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র হিসেবে মো. মিজানুর রহমান।

ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৬ জন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জেপি মঞ্জু) থেকে মো. গজনবী, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম রিটু ও মো. আসাদুজ্জামান এবং তরিকত ফেডারেশন থেকে শাহেন শাহ মো. শামছুদ্দিন মিয়া।

ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাঁচজন। আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মো. কামাল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহী) হিসেবে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন ও এমপি শাওনের সহধর্মিনী ফারজানা চৌধুরী। তবে এরা দুই জন দলের কোনো পদে নেই। এছাড়াও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে মো. আলমগীর।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫জন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মো. মিজানুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) থেকে মো. আলাউদ্দিন, তৃণমূল বিএনপি থেকে মো. হানিফ ও স্বতন্ত্র থেকে আবুল ফয়েজ।

ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, মনোনয়পত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতিক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর।

সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের ছয়টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতা মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ তথ্য জানান। এর আগে স্ব স্ব উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদর আংশিক) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ৭জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়, স্বতন্ত্র কাজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র জিএম তালুকদার, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির রেজাউল হক।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জাতীয় পার্টির আমিনুল ইসলাম ঝন্টু ও তৃণমূল বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র থেকে মোট ১১জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে দশজনের নাম পাওয়া গেছে।

এরা হলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সুইট, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম খাঁন দুলাল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি স্বপন রায়, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম খন্দকার শরিফ, জাতীয় পার্টির রায়গঞ্জ উপজেলা সভাপতি মো. জাকির হোসেন, বিএনএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা এ্যড: মো. গোলাম মোস্তফা, আল-আরাফাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহা: নুরুল ইসলাম উজ্জ্বল (স্বতন্ত্র প্রার্থী) ও জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা আংশিক) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ থেকে ৪ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, জাতীয় পার্টির হিল্টন প্রামানিক ও জাসদ (ইনু) মনোনীত মোস্তফা কামাল বকুল।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ ৭জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শিল্পপতি আব্দুল মমিন মন্ডল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সাজেদুল।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ৯জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির তারিকুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মোক্তার হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র প্রার্থী মোঃ মোজাম্মেল হক, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউল করিম (বিপ্লব), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র প্রার্থী মো. রেজাউর রশীদ খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র প্রার্থী মোঃ আল-আমীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)’র প্রার্থী মোহাম্মদ শামীম এবং স্বতন্ত্রে শাহজাদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিমুল হক মিরু।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের জানুয়ারির ৭ তারিখে সারাদেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।

সারাবাংলা/এনইউ

জমা টপ নিউজ মনোনয়নপত্র

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর