ভূমিকম্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৪
ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, শনিবার( ২ ডিসেম্বর) সকালে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬। ৯ টা ৩৫ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ শেয়ার করছেন নিজ নিজ অভিজ্ঞতার কথা। আবার কেউ কেউ ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হওয়া ঘরবাড়ির ছবি পোস্ট করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ভূমিকম্পে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি আবাসিক হলের (বঙ্গবন্ধু, নজরুল ও ফয়জুন্নেছা) ভবনে ফাটল। তিনি তার এই পোস্টের নিচে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যায় ভবনে বিশাল ফাটল ধরেছে। আবার কোনোটির ছাদে ফাঁটল আবার টাইলস উল্টে যাওয়ার চিত্র।
ফেসবুকে সাদ বিন শফিক লিখেছেন, প্রবলভাবে কেঁপে উঠলাম।
সিরাজুল মামুন লিখেছেন, মুন্সীগঞ্জও কেঁপে উঠেছে।
জহুরুল হাসান সোহেল লিখেছেন, ‘৫ মিনিটে একটি ভূমিকম্পে এ যাবতকালের সব উন্নয়ন ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে।’
লুৎফুর রহমান কাঁকন লিখেছেন, ‘ভূমিকম্প হলে মানুষের কিছু করার নেই । সব আল্লাহ’র হাতে, আসলে সবই স্রষ্টার হাতে। ছোট ভূমিকম্প হলে বেঁচে যাবে, বড় হলে মরে যাবে।’
এমদাদুল হক তুহিন লিখেছেন, ‘আল্লাহ রক্ষা করেছে মনে হলো। এত বড় ভূমিকম্প।’
সঞ্চিতা সিতু লিখেছেন, ‘ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিয়েছে।’
শ্যামল সরকার লিখেছে, ‘অনেক বড় ভুমিকম্প হয়ে গেল।’
অনুসূয়া বড়ুয়া লিখেছেন, ‘এখনও মাথা ঘুরছে, আজ সারাদিন হাঁটি অবস্থায় থাকব তাহলে টের পাব না ‘
সবুজ আহমেদ লিখেছেন ভয়াবহ ভূমিকম্প এমন ঝাঁকুনি জীবনে প্রথম। ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী লিখেছেন, যারা ভূমিকম্প টের পান না তারা কারা? তাদের জীবন ষোলো আনাই মিছে।
সৈয়দ আল আহসান শিমুল লিখেছেন, ‘কুমিল্লায় ভূমিকম্পে আহত দুই শতাধিক।’
দৌলত আক্তার মালা লিখেছেন, ‘ভূমিকম্পে এমন ঝাঁকুনি মনে হয় এই প্রথম খেলাম আল্লাহ সবাইকে হেফাজত রাখুন।’
এমন শত শত মানুষ নিজ নিজ প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন। ভূমিকম্পে নিজেদের অভিজ্ঞতা লিখেছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সারাবাংলাকে জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি নিজেও মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তার পরিবারকে নিয়ে খোলা জায়গায় বের হয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ‘এর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ এলাকায়।’
ভূতত্ত্ববিদদরা বলছেন, বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা ভূমিকম্পের বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকায় গত কয়েক বছরের মধ্যে যেসব ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশের উৎপত্তিস্থলই ছিল বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে সিলেট বা চট্টগ্রাম অঞ্চলে। অনেকগুলো ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভারতের মিজোরাম বা ত্রিপুরা রাজ্যে। তবে ঢাকার আশেপাশে উৎপত্তিস্থল রয়েছে, এমন ভূমিকম্পও মাঝেমধ্যেই হতে দেখা গেছে।
সারাবাংলা/জেআর/একে