ইসি প্রতিশ্রুতি না রাখলে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নেবে জাতীয় পার্টি
৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১০
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ২৮৮টি আসনে শক্ত ভাবে লড়াই করবে। প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন। উঠান বৈঠক, প্রার্থীরা নিজ বাড়িতে চায়ের আড্ডাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংযোগ অব্যহত রেখেছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেশিশক্তি দেখালে বা ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারলে জাতীয় পার্টি নির্বাচন নিয়ে ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিতে পারে বলে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার অভিযান জোরেশোরে শুরু করবেন। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেকটি নির্বাচনী আসনের পরিস্থিতি মনিটরিং করছে। এজন্য রোববার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনী মনিটরিং সেল খোলা হতে পারে।
দলের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আশ্বাস দিয়েছে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে। নির্বাচনী মাঠে কোনরকম পেশিশক্তির মহড়া কিংবা কালো টাকার প্রভাব খাটাতে পারবে না কেউ। সেদিকে নির্বাচন কমিশন কড়া নজর রাখছে। জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারকরা নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে দলীয় প্রার্থীদের জোরালোভাবে নির্বাচনী প্রচার অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নির্দেশ অনুযায়ী জাপার নেতাকর্মীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতীক বরাদ্দের পরই তারা সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং শুরু করবেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সারাবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠে জাতীয় পার্টি র্নিবিঘ্নে প্রচার অভিযান মিছিল মিটিংসহ নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। আমরা নির্বাচন কমিশনে বারবার একই আবেদন করে আসছি, তারা আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনী মাঠে সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যহত থাকবে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিরপেক্ষ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা রক্ষা করতে না পারলে তখন জাতীয় পার্টি কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও