Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোটের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২০

ঢাকা : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে রাখতে সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার জোরদার করার পাশাপাশি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের তালিকা করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনে কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়-১ শাখার সিনিয়র সহাকারী সচিব মোহাম্মদ মোরশেদ আলম জারি করা ইসির পরিপত্র-৯ এ এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইসির পরিপত্রে বলা হয়, সব শ্রেণির ভোটার যাতে তাদের ভোটাধিকার নির্ভয়ে প্রয়োগ করতে পারেন তার নিশ্চয়তা দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজন কর্মীদেরও সঙ্গে নিয়ে একটি এবং প্রয়োজনে একাধিক বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইসির পরিপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনি এলাকার সবস্তরের ভোটারদের এবং বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটদানের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকলের বাহিরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সকল বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ন্যাসীদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জেতারের ব্যবস্থা করতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, পর্যাপ্ত সংখ্যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনসহ চিহ্নিত গোলযোগপূর্ণ ভোটকেন্দ্রসমূহে বেশি সংখ্যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী বা তাদের সমর্থকরা যাতে নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন তার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনে কোনো উস্কানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান হাতে বিরত থাকেন কিংবা অর্থ, পেশিশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা যারা কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও পরিপত্রে প্রার্থী ও ভোটাররা যাতে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সু-সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এবং প্রয়োজনবোধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইসি টপ নিউজ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর