Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এবার নির্বাচন করতে দিলে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালাবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৩৩

ঢাকা: এবার নির্বাচন করতে দিলে আওয়ামী লীগ সারাদেশে গণহত্যা চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে অবরোধের সমর্থনে জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন মোড়, বিজয়নগর এলাতকায় মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।

জোট নেতারা বলেন, ‘এবার নির্বাচন করতে দিলে নির্বাচন পরবর্তী ইস্যুতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালাবে। এতে সরকার বিরোধীদের বড় জানাজা হতে পারে। কারণ, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকার বিরোধী নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের না পেয়ে কারও বাবা-মা, কারও ভাই-বোন, কারও স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাদের আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং পুলিশ আহত নেতা-কর্মীদের আদালতে তুলে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।’

জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘দেশের মানুষের সাথে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করে চলেছে। তারা এক দিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজের পকেট ভারি করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।’

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।’

জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখন শ্রী-মতীর পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়। তাই দেশবাসী মনে করে, আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ।

মিছিলে অংশ নেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির, সৈয়দ ইব্রাহিম রনক, এম এ বাশার, আবদুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান ছাত্র মিশনের মো. মোসতাকিন বিল্লাহসহ অনান্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

১২ দলীয় জোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর