Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:২৪

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঘোষিত তফসিল স্থগিত ও এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন; তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। আর নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ।

শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হওয়া উচিত এমনটি উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৮ সালে আমি নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে রাতে ভোট হয়েছে। রাতের ভোটের বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বরিশালের এক জনসভায় বক্তব্যও দিয়েছেন।’

এ সময় আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ‘রাতের ভোটের জন্য কোনো মামলা করেছেন, কোনো মামলা হয়েছে? রাতের ভোটের কোনো প্রমাণ আছে।’ তখন রিটকারী আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘এর সাক্ষী ১৮ কোটি মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তা নিষ্পত্তি করতে করতে পাঁচ বছর কেটে যাবে, মামলা করে কী লাভ।’

তখন আদালত বলেন, ‘আপনি অফিসার্স অব দ্য কোর্ট। আপনি কোর্টকে সহায়তা করবেন। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বা বাইরের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে তো আর মামলা চলবে না।’

পরে আদালত তাকে তার আরও কোনো বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে দিতে নির্দেশ দিয়ে ১০ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট (রিট পিটিশন নম্বর: ১৫১৫৪/২০২৩) করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিব এবং সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়।

রিটে জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ঘোষিত গত ১৫ নভেম্বর তারিখের প্রজ্ঞাপন মূলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। সেইসঙ্গে রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তফসিল স্থগিতের আবেদন জানানো হয়।

এর আগে, গত ২৮ নভেম্বর সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত এবং আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচন পেছাতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন ইউনুছ আলী আকন্দ।

রেজিস্ট্রি ডাক ও ইমেল যোগে পাঠানো আইনি নোটিশে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল। নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছিল। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল। নোটিশের বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।

জনস্বার্থে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল উল্লেখ করে আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘দেশের বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের চাপ রয়েছে। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে তফসিল স্থগিত এবং নির্বাচন পেছানোর দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’

নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে রাজনৈতিক সংকটের কারণে হরতাল-অবরোধের সময় দেশের অনিবার্য পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দলের ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

আইনি নোটিশ ইউনুছ আলী আকন্দ রুল হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর